লকডাউন নিয়ে কী ঘোষণা করবেন মুখ্যমন্ত্রী? উদগ্রীব অপেক্ষা
সপ্তাহে দুদিন করে লকডাউনের ঘোষণা ইতোমধ্যে করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত সপ্তাহে বৃহস্পতিবার ও শনিবার ছিল লকডাউন। চলতি সপ্তাহে লকডাউন হবে বুধবার। কিন্তু তাতেও রাজ্যে করোনা সংক্রমণে বাঁধ দেওয়া যায়নি। প্রতিদিনই গড়ে ২০০০-২২০০ জন আক্রান্ত হচ্ছেন মারণ ভাইরাসে। এই পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার বিকেল ৪টের সময় ফের সাংবাদিক বৈঠক ডেকেছেন মুখ্যমন্ত্রী। সূত্রের খবর, সেখান থেকে লকডাউন নিয়ে কোনও বড় ঘোষণা করতে পারেন তিনি।
সোমবার কলকাতা-সহ তিন শহরে ICMR-এর অত্যাধুনিক করোনা পরীক্ষাকেন্দ্রের উদ্বোধনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে ভিডিয়ো কনফারেন্সে হাজির ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। সেখানেই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে বিষদে কথা হয় তাঁর। সেই প্রসঙ্গেই রাজ্যে বিমান চলাচল ও ইউজিসি-র পরীক্ষা নির্দেশিকা নিয়েও সরব হন মুখ্যমন্ত্রী। রাজনৈতিক মহলের একাংশের ধারনা, অনেক রাজ্যই যেখানে টানা লকডাউনের পথে হেঁটেছে, সেখানে শুধুমাত্র সপ্তাহে দুদিন লকডাউন ঘোষণা করেছে পশ্চিমবঙ্গ। কিন্তু তাতে সংক্রমণ থামার কোনও ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে না। তাই ফের কি ধারাবাহিক লকডাউন ঘোষণা করবেন মুখ্যমন্ত্রী? উদগ্রীব অপেক্ষা অনেকেরই।
রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে এদিন প্রধানমন্ত্রীকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্যে মোট ৮১টি করোনা-ল্যাব রয়েছে। তবে আরও ল্যাব দরকার। বাংলায় ইতোমধ্যে ১০৬টি সেফ হাউস তৈরি করা হয়েছে। এছাড়াও প্লাজমা ব্যাংক এবং নতুন কোভিড ক্লাবও হয়েছে। করোনা মোকাবিলায় বাংলা ঠিক কতটা আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করছে, তা প্রধানমন্ত্রীকে বুঝিয়ে বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
কিন্তু এরই পাশাপাশি রাজ্যের করোনা চিত্রও যে ধারাবাহিকভাবে উদ্বেগজনকই হয়ে রয়েছে, তা এদিনের করোনা সম্পর্কিত স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিনেও স্পষ্ট। গত ২৪ ঘণ্টায় পশ্চিমবঙ্গে আরও ২১১২ জন ব্যক্তির শরীরে করোনা সংক্রমণ দেখা গিয়েছে। থেমে নেই মৃত্যু মিছিলও। গত ২৪ ঘণ্টায় মারণ ভাইরাসের কামড়ে মৃত্যু হয়েছে ৩৯ জনের। তবে, আশার কথা হল পশ্চিমবঙ্গে গত ২৪ ঘণ্টায় যত জন নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন, সেই তুলনায় সুস্থ হয়ে ওঠা ব্যক্তির সংখ্যা বেশি। আক্রান্ত যেখানে ২১১২ জন, সেখানে ২১৬৬ জন মানুষ সুস্থ হয়ে উঠেছেন। যা রীতিমতো আশাপ্রদ বলছেন চিকিৎসকরা। তবে, এখনই নিশ্চিন্ত হওয়ার উপায় নেই। কারণ রাজ্যের বর্তমান করোনা পরিস্থিতিকেও যথেষ্ট উদ্বেগের বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। ফলে ফের কি লকডাউনের পথেই হাঁটতে চলেছে রাজ্য, অপেক্ষা মঙ্গলবার বিকেল ৪টে পর্যন্ত।