করোনা-সংক্রমণ দ্রুত গতিতে বাড়ছেই না, দ্বিগুণ বেগে বাড়ছে: মত হু-প্রধানের
করোনা-সংক্রমণ দ্রুত গতিতে বাড়ছেই না, দ্বিগুণ বেগে বাড়ছে। গত ছ’সপ্তাহের পরিসংখ্যান তাই জানাচ্ছে বলে দাবি করলেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-র ডিরেক্টর জেনারেল টেড্রস অ্যাডানম গেব্রিয়েসাস।
এমনটা যে হতে চলেছে, আগেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন হু-প্রধান। জানিয়েছিলেন, গৃহবন্দি মানুষ ক্লান্ত। অর্থনৈতিক ভাবেও বিপর্যস্ত। কিন্তু এ অবস্থায় লকডাউন তুলে নিয়ে বাইরে বেরোনো মানেই সংক্রমণ বৃদ্ধি। কার্যত সেটাই হয়েছে। বিশ্বের বেশির ভাগ দেশেই লকডাউন শিথিল হতে দ্বিগুণ বেগে বেড়েছে সংক্রমণ। তিনি বলেন, ‘‘কোভিড-১৯ পৃথিবীকে বদলে দিয়েছে। সব দেশ, সম্প্রদায়, মানুষকে এক করেছে। আবার দূরেও সরিয়ে দিয়েছে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘তবে আমরা কিন্তু ‘অতিমারির বন্দি’ নই। তফাত এই যে, আমরা প্রত্যেকে একা বদল আনতে পারি।’’ ইউরোপের দেশগুলিতে করোনা-পরিস্থিতি এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। ভাইরাসের উৎস চিন প্রায় করোনা-শূন্য হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু দ্বিতীয় ঢেউ আসার পর থেকেই সংক্রমিতের সংখ্যা বাড়ছে। সোমবার নতুন করে ৬১ জনের শরীরে করোনা ধরা পড়েছে। এপ্রিল মাসের পরে এই প্রথম এত বড় লাফ।
ব্রিটেন বারবারই সুস্বাস্থ্যের উপরে জোর দিচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন করোনা-আক্রান্ত হয়েছিলেন। সুস্থ হওয়ার পর থেকেই বলে আসছেন, স্থূলতা করোনা সামলানোর পক্ষে কঠিন হতে পারে। ‘ওজন কমান’— প্রচার শুরু করেছেন বরিস। আজ বলেন, ‘‘ওজন কমানো কঠিন। কিন্তু ছোটখাটো বদলে নিজেরই অনেক সতেজ লাগবে, সুস্থ লাগবে। তা ছাড়া করোনা-আক্রান্ত হলে ঝুঁকি কমবে।’’ স্বাস্থ্যমন্ত্রী ম্যাট হ্যানককও যোগ করেন, ‘‘আমরা সকলেই জানি, স্থূলতা ঝুঁকি বাড়ায়। অতএব, বিষয়টা ভেবে দেখা উচিত।’’ ‘বেটর হেল্থ’ নামে একটি প্রচার শুরু করতে চলেছে ব্রিটেনের স্বাস্থ্য ও সামাজিক সুরক্ষা দফতর। নতুন আইনও আনছে ব্রিটেন। এই আইনে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হবে ফ্যাট, অতিরিক্ত চিনি বা নুন-যুক্ত খাবারের বিজ্ঞাপন।