তথ্য যাচাই বিভাগে ফিরে যান

পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে পুরনো ভিডিও ছড়িয়ে অশান্তি বাধানোর চেষ্টায় গেরুয়া বাহিনী

July 6, 2023 | 2 min read

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলিতে একটি ভিডিও ঘুরছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ-সহ ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) প্রতীক যুক্ত স্কার্ফ পরা কয়েকজন লোককে মারধর করা হচ্ছে।


দাবি :
ভিডিওটি শেয়ার করে দাবি করা হচ্ছে- পশ্চিমবঙ্গে হিন্দুদের জন্য “নো-গো জোন” রয়েছে, যেগুলি এমন এলাকা যেখানে শুধুমাত্র রোহিঙ্গা এবং মুসলিম সম্প্রদায়ের লোকদের প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়।

এপরই ওই পোস্টগুলিতে উল্লেখ করা হয়- পশ্চিমবঙ্গে “হিন্দুরা কমে গেছে” এই ভিডিও তা প্রমান করে। এর সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের “ভোট ব্যাংক”-এর প্রসঙ্গও উল্লেখ করা হয়েছে।

রাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচনের কয়েকদিন আগেই সামাজিক মাধ্যমে এই ভিডিও পোস্টটি শেয়ার করা হয়েছে।

নিবন্ধটি লেখা পর্যন্ত টুইটারে ‘ব্লু টিক’ গ্রাহক ‘@JIX5A’-এর অ্যাকাউন্ট থেকে এই পোস্টটি চার লাখেরও বেশি বার দেখা হয়েছে।

বাস্তব : কিন্তু মজার বিষয় হল, যে ভিডিওটিকে বর্তমান সময়ের বলে দাবি করা হচ্ছে তা আসলে ২০১৭ সালের অক্টোবর মাসের! যখন বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ এবং তাঁর দলের সদস্যদের গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা’র (GJM) কর্মী-সমর্থকরা আক্রমণ করেছিলেন।

২০১৭ সালের ৬ অক্টোবর বেসরকারি সংবাদমাধ্যমেরসম্প্রচারিত একটি ভিডিওর সাথে এই ভিডিওটি হুবহু মিলে যাচ্ছে। যেখানে দিলীপ ঘোষ এবং তাঁর সঙ্গীদের দার্জিলিং-এ আক্রান্ত হওয়ার দৃশ্য দেখা যাচ্ছে।

এবারই প্রথম নয়, এর আগে ২০১৯ এবং ২০২০ সালে সিএএ-বিরোধী বিক্ষোভ চলার সময় পশ্চিমবঙ্গের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তুলে এই ভিডিওটি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল।

কিন্তু খতিয়ে দেখা গেছে, ভিডিওটি পুরানো, যখন বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ এবং অন্যান্য বিজেপি সদস্যরা বিনয় তামাং-এর সমর্থকদের দ্বারা হেনস্থা ও লাঞ্ছিত হচ্ছেন। কাজেই আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে আবারও একই উদ্দেশ্যে এই ভিডিও ভাইরাল করার প্রচেষ্টা কি না, উঠছে সেই প্রশ্ন।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#West Bengal, #fake News, #Fact Check

আরো দেখুন