জঙ্গলমহলে সুবর্ণরেখার তীরে পূজিত হন মাঝিমল্লাদের দেবী সাতাঁইবুড়ি
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: রাঢ় বাংলার বিভিন্ন এলাকায় লৌকিক দেব-দেবীর আরাধনা চলে। জঙ্গলমহলের ঝাড়গ্রামের নয়গ্রাম ব্লকের সুবর্ণরেখা তীরবর্তী এলাকায় রয়েছে সাতাঁইবুড়ির থান বা সাঁতাইবুড়ির মন্দির। এই দেবীকে নিয়ে কাহিনীর অন্ত নেই।
জঙ্গল কন্যা সেতুর পাশে ডাহি এলাকায় মন্দিরটি অবস্থিত। চারদিকে দেওয়ালে ঘেরা মন্দিরে উপরে নেই কোনও ছাদ নেই। পাথর এবং হাতি, ঘোড়া পুজোর মধ্য দিয়ে দেবীর আরাধনা করা হয়। বেদীর ওপর হাতি ঘোড়ার ছলনেই পুজো হয়। সাঁতাইবুড়ি আদপে সাঁতারেবুড়ি, ভক্তের বিশ্বাস দেবী, নদীর করাল গ্রাস থেকে বিপন্নকে উদ্ধার করেন।
সাঁতাইবুড়ি গ্রামচন্ডীর মর্যাদা পান। গ্রামবাসীদের চাষের জমি রয়েছে, নদীর ওপারে। গরুর লেজ ধরে সাঁতরে নদী পেরোনোর সময় সাতাঁইবুড়ি দেবীকে ডাকেন গ্রামবাসীরা। গ্রামবাসীদের মতে, নদীতে মাছ ধরবার সময় এক জেলের জালে আসে একটি পাথর। পাথরটিকে এনে পুজো শুরু করা হয়। সেখান থেকেই দেবীর আবির্ভাব।
মকর সংক্রান্তির দিন দেবীর পুজো হয় বেশ জাঁকজমক সহকারে। আনন্দে মেতে ওঠেন আশপাশের কয়েকটি গ্রামের মানুষ। মাঝিমাল্লাদের দেবী তিনি। পুজোর নৈবেদ্য হিসেবে নারকেল, ফল,পায়েস এমনকি মদও উৎসর্গ করা হয়। ‘ছলন’ অর্থাৎ মাটির হাতি, ঘোড়ার মূর্তি দেওয়া হয় পুজোর সময়।