বিবিধ বিভাগে ফিরে যান

ডাক্তারিও করেছেন বিদ্যাসাগর 

July 29, 2020 | < 1 min read

বিদ্যাসাগরের নিজের হাঁপানি রোগ ছিল। শীতকালে সেই রোগ বেড়ে যেত। তিনি সকালে সন্ধ্যায় দু বেলা গরম চা পান করতেন। একদিন চা খাওয়ার পর অনুভব করলেন হাঁপানির টান যেন একটু বেশী মাত্রায় কম বোধ হচ্ছে। ভৃত্যকে ডেকে জিজ্ঞেস করলেন চায়ে আদা বা বিশেষ কিছু দেওয়া হয়েছিল কিনা। ভৃত্য বলে, না রোজ যেভাবে বানাই, সেভাবেই বানিয়েছি। 

বিদ্যাসাগরের সন্দেহ হয়। সরেজমিনে বিষয়টা খতিয়ে দেখতে রান্নাঘরে গিয়ে চায়ের কেটলি খোলেন তিনি। যা দেখেন তাতে হতভম্ব বিদ্যাসাগর। কেটলিতে দুটো আরশোলা মরে পড়ে আছে। 

ভুবনকৃষ্ণ মিত্র লিখছেন, ‘তিনি দেখিলেন এক কেটলি জলে যখন ২টা আর্সোলা পড়িয়া তাঁহার হাঁপ অর্ধেক কমাইয়াছে, না জানি বহু পরিমাণে উহা জলে ফেলিয়া সিদ্ধ করিয়া, পরে এলকোহলে ফেলিয়া ছাঁকিয়া ডাইলুট করিয়া হোমিওপ্যাথি মতে ঔষধ বানাইয়া লোকের বা রোগীর অজ্ঞাতে সেবন করাইয়া এবং নিজেও ব্যবহার করিয়া দেখিব, হাঁপ কাসি সারে কি না?’ যেমন ভাবা তেমন কাজ। হোমিওপ্যাথি মতে ওই ওষুধ তৈরী করে অনেকের কষ্ট উপশম করেছিলেন বিদ্যাসাগর।

এই বিদ্যাসাগরই কিন্তু মাইকেলের জন্য মদের যোগান দিতেন। সুবলচন্দ্র মিত্রের বইয়ে বিদ্যাসাগরকে লেখা মাইকেলের একটি দুর্লভ চিঠি পাওয়া যায়। মাইকেল লিখছেন, ‘আমার সহকর্মী বাবু মূর্তিলাল চৌধুরীকে সঙ্গে নিয়ে তোমার কাছে যাব। তুমি এক বোতল শেরি আনিয়ে রেখো’। বিদ্যাসাগরের কাছে মদ আনিয়ে রাখার বায়না মাইকেল ছাড়া আর কেইই বা করতে পারতেন। 

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Vidyasagar, #Homeopathy

আরো দেখুন