নিউ ইয়র্কের টাইমস স্কোয়ারে উজ্জ্বল গর্বের মোহনবাগান
২৯শে জুলাই, ১৯১১। ইস্ট ইয়র্কশায়ারকে হারিয়ে ব্রিটিশদের দর্পচূর্ণ করেছিলেন এগারোজন বীর যোদ্ধা। সেই জয় শুধু ভারতীয় ফুটবলে নয়, স্বাধীনতা সংগ্রামেও দাগ রেখেছিল। সেই ঐতিহাসিক দিন পেরিয়েছে ১৩১ বছর হল। কিন্তু স্মৃতি আরও যেন উজ্জ্বল হয়েছে। অতীত হয়ে উঠেছে গর্বের। মোহনবাগানের ইতিহাস নিয়ে কথ বলতে সমর্থকদের সবসময়ই গর্ববোধ করেন। তবে আজকের দিনটা যেন একটু বেশি গর্বের। আজ ২৯শে জুলাই। মোহনবাগান সমর্থকদের কাছে ঐতিসাহিক এক দিন। গর্বেরও বটে। তবে এবার সব কিছু এলোমেলো হয়ে রয়েছে। ক্লাবে সমর্থকদের ঢল নেই। কুচকাওয়াজ, অনুষ্ঠান নেই। করোনার এই আবহে মোহনবাগান সমর্থকরা যেন বাক্সবন্দি।
আজ ২৯শে জুলাই আবার রাজ্যে লকডাউন। ফলে সমর্থকদের বাড়ি থেকে বেরিয়ে পাড়ার রাস্তায় উদযাপনেরও সুযোগ নেই। উত্সবমুখর বাঙালির ২৯শে জুলাই এবার একেবারে ম্যাড়ম্যাড়ে। তবে এমন দিনে সুখবর এলই। মোহনবাগান সমর্থকদের জন্য মন ভাল করা খবর। তাও হাজার কিমি দূর থেকে। নিউ ইয়র্কের টাইমস স্কোয়ারে পালিত হল মোহনবাগান দিবস। আপামোর মোহনবাগান সমর্থকদের কাছে যা কি না গর্বের। করোনা মহামারির এই দুঃসময়ে কিছুটা হলেও অক্সিজেন পেলেন মোহনবাগান সমর্থকরা। এই পাওয়া কম নয় কিন্তু! মোহনবাগানের শতবর্ষপ্রাচীন ঐতিহ্যে যেন আরও এক গর্বের অধ্যায় যুক্ত হল।
আইকনিক টাইমস স্কোয়ার-এর নাসড্যাক বিলবোর্ড-এ ঠিক রাত ১২টায় ভেসে উঠল মোহনবাগানের লোগো। ভেসে উঠল বাঙালির চিরাচরিত গর্বের সবুজ-মেরুন রঙ। ভেসে উঠল যেন ১৩১ বছর ধরে প্রবাহিত স্বর্ণোজ্জ্বল ইতিহাস। বিশ্বের দরবারে মোহনবাগান আরও একবার উজ্জ্বল হয়ে উঠল। সারা বিশ্বে ছড়়িয়ে থাকা মোহনবাগান সমর্থকদের বুক গর্বে চওড়া হয়ে উঠল। ক্লাবের ঐতিহাসিক পাল তোলা নৌকার লোগো, প্রতিষ্ঠা দিবস সবই টাইমস স্কোয়ার-এর নাসড্যাক বিলবোর্ড-এ থাকল অনেকটা সময়।