মোদী জমানায় মুখ থুবড়ে পড়ছে স্টার্ট-আপ বাণিজ্য? কত কমল লগ্নি?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: স্টার্ট-আপের জোয়ারে ভাটার টান! ভারতের অর্থনীতির উন্নতি তথা বৃদ্ধির প্রমাণ হিসেবে মোদী থেকে শুরু করে দেশের বাণিজ্য মন্ত্রী, অর্থমন্ত্রীরা বারবার স্টার্ট-আপ বাণিজ্যর কথা তুলে ধরেন। মোদী সরকার স্টার্ট আপকেই সবথেকে বেশি করছাড়ের সুবিধাই দেয়। সেই স্টার্ট আপ ক্রমশ মুখ থুবড়ে পড়ছে। এক বছর ধরে ক্রমেই কমছে লগ্নি এবং আর্থিক জোগান।
৭০ শতাংশ লগ্নি কমে গিয়েছে এক বছরে। জানা গিয়েছে, অন্তত ২০ শতাংশ স্টার্ট আপের ভবিষ্যৎ এখন অনিশ্চয়তার আঁধারে ডুবে গিয়েছে। তথ্যাভিজ্ঞ মহলের মতে, এমন পরিস্থিতি চললে ৫০ শতাংশ স্টার্ট আপের ২০২৭ সালের আগে লাভের মুখ দেখার সম্ভাবনা থাকবে না। আর্থিক প্রযুক্তি সংক্রান্ত সেক্টরের এই দশা, এই সেক্টরই আগামীতে সবচেয়ে লাভজনক হতে পারে, ভাবা হচ্ছিল। বিদেশি লগ্নির প্রবণতাও বিগত কয়েক বছরে বাড়ছিল, কিন্তু হঠাৎ করেই সব নিম্নগামী।
২০২১ সালে লগ্নির পরিমাণ ছিল পাঁচ হাজার কোটি ডলার, ২০২২ সালে তা ১ হাজার ৫০০ কোটি ডলারে এসে থেমেছে। এই পরিস্থিতির জন্যে উন্নত দেশের আর্থিক মন্দা, পর্যাপ্ত চাহিদার অভাবের পাশাপাশি দায়ী বহু স্টার্ট আপের দিশাহীন বাণিজ্য ফর্মুলা। স্টার্ট আপে কোনও মন্দা দেখা দিলেই, সবার আগে কর্মী ছাঁটাই শুরু হয়, এই প্রবণতা সবচেয়ে ক্ষতিকর। এর জেরে বহু স্টার্ট আপ বন্ধ হয়ে পড়ে, বিপুলভাবে কর্মী সংখ্যা হ্রাস পায়। কর্মসংস্থান হ্রাস পাওয়ার দরুন, স্টার্ট আপ যে কর্মসংস্থানের ক্ষেত্র হতে পারে না, এমন একটা ধারণার জন্ম হয়েছে।