পঞ্চায়েত ভোটে আহত কর্মীদের দেখতে SSKM-এ গেলেন মমতা
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: রাজ্য পঞ্চায়েত নির্বাচনে নন্দীগ্রামে আহত কর্মীদের দেখতে আজ এসএসকেএম-এ যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওয়ার্ডে ঘুরে ঘুরে আহতদের শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নেন। জখমদের হাতে তুলে দেন আর্থিক সাহায্যের চেক।
একুশের বিধানসভায় বাংলা জয়ের স্বপ্নভঙ্গ হতেই বিজেপি সরকার ফেলার জুজু দেখাতে আরম্ভ করে। বঙ্গের গেরুয়া নেতারা বেশ কিছুদিন ধরেই বাংলার নির্বাচিত সরকার ফেলে দেওয়ার হুমকি দিচ্ছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে অমিত শাহ বীরভূমে এক সভা থেকে দাবি করেছিলেন, লোকসভায় বাংলায় বিজেপি ৩৫টি আসন পেলেই সরকার পড়ে যাবে। একই কথা ফের বলেন মোদীর মন্ত্রিসভার প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর। রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের গলাতেও এক সুর। আর শুভেন্দু তো এ দাবি দীর্ঘদিন করে চলেছেন। যদিও দিলীপ উল্টো সুরে। সরকার ফেলে দেওয়ার হুঁশিয়ারির জবাব দিয়েছেন, তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শ্লেষাত্মক ভঙ্গিতে তিনি বলেন, ‘বালতি উল্টানোর ক্ষমতা যাদের নেই, তারা আবার সরকার ফেলে দেওয়ার কথা বলছে!’
বেঙ্গালুরুতে বিজেপি বিরোধী মহাজোট অর্থাৎ ইন্ডিয়া’র বৈঠক সেরে বুধবারই কলকাতা ফিরে এসএসকেএম হাসপাতালে যান মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে চিকিৎসাধীন নন্দীগ্রাম-খেজুরিতে ভোট পরবর্তী হিংসায় জখম দলীয় কর্মীদের দেখে, বেরোনোর সময় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০২৬-এ বিধানসভা ভোটের আগেই বাংলার সরকার ফেলে দেওয়ার হুমকি শুনে তিনি বলেন, ‘কী আর করবে! সত্যি সত্যিই ওদের খেয়েদেয়ে কোনও কাজকর্ম নেই। আগে নিজেদের সরকারটা সামলাক। ওদের সরকার (মোদী সরকার) তো উল্টে গিয়েছে। কাল ( অর্থাৎ বেঙ্গালুরুর বৈঠকের পর) থেকে তো ভয়ে থরথর করে কাঁপছে।’