চীনের দাপট রুখতে, ভাণ্ডারে তৃতীয় বিমানবাহী রণতরী চাইছে ভারতীয় নৌসেনা
ভারত মহাসাগরে লাগাতার গতিবিধি বাড়িয়ে চলেছে চিন। জলদস্যু দমনের নামে পাকিস্তানের গদর এবং লোহিত সাগরের মুখে অবস্থিত জিবউতি নৌঘাঁটি এলাকায় থেকে মালাক্কা প্রণালীতে ঢুকে পড়ছে চিনা যুদ্ধজাহাজ । এহেন পরিস্থিতিতে লালফৌজের উপর টেক্কা দিতে তৃতীয় বিমানবাহী রণতরী চাইছে ভারতীয় নৌসেনা।
সম্প্রতি চিনকে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়ে দক্ষিণ চিন সাগরে আণবিক শক্তি চালিত যুদ্ধবিমানবাহী রণতরী ‘USS Nimitz’ ও ‘USS Ronald Reagan’ পাঠিয়েছিল আমেরিকা। সম্প্রতি দক্ষিণ চিন সাগরে বিতর্কিত জলসীমায় সামরিক মহড়া করে চিনের নৌসেনা (People’s Liberation Army Navy)। তারই জবাবে দু’টি ‘ক্যারিয়ার স্ট্রাইক গ্রুপ’ পাঠায় আমেরিকা। উল্লেখ্য, একটি বিমানবাহী যুদ্ধজাহাজের সঙ্গে থাকে সাবমেরিন, ফ্রিগেট, ডেস্ট্রয়ারে মতো বেশ কয়েকটি রণতরী। এগুলোকে মিলিয়ে বলা হয় ‘স্ট্রাইক গ্রুপ’। যেহেতু মার্কিন রণতরীগুলি আণবিক শক্তি চালিত তাই তারা অনির্দিষ্টকালের জন্য সাগরে থাকতে সক্ষম। পাশাপাশি, F-18 যুদ্ধবিমানের সঙ্গে ‘USS Nimitz’ ও ‘USS Ronald Reagan’-এ রযেছে বিধ্বংসী মিসাইল সম্ভার।
মার্কিন ‘স্ট্রাইক গ্রুপ’-এর ক্ষমতা দেখেই এবার তৃতীয় বিমানবাহী রণতরী অর্থাৎ আর একটি ‘ক্যারিয়ার স্ট্রাইক গ্রুপ’ তৈরি করতে চাইছে ভারতীয় নৌসেনা। এর ফলে ভারত মহাসাগরে চিন ও পাকিস্তানকে একসঙ্গে টেক্কা দেওয়া যাবে। তব উদ্বেগের বিষয়, করোনা মহামারীর জেরে কোচিন শিপ ইয়ার্ডে নির্মিয়মাণ দেশীয় প্রযুক্তির দ্বিতীয় বিমানবাহী রণতরী (IAC-I বা INS Vikrant) নৌসেনার হাতে আসতে আরও কিছু সময় লাগবে। মনে করা হচ্ছে আগামী বছর সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যেই এয়ারক্র্যাফট ক্যারিয়ারটি হাতে পাবে নৌসেনা। এই রণতরীটি তৈরি করতে খরচ হবে প্রায় ২২ হাজার কোটি টাকা। ২০৫০ সালের মধ্যে এমন ১০টি বিমানবাহী রণতরী তৈরি করে ফেলতে চাইছে ভারত। কিন্তু আপাতত এই ক্ষেত্রে কিছুটা এগিয়ে চিন। বর্তমানে চিনের হাতে রয়েছে দু’টি বিমানবাহী রণতরী। অত্যন্ত দ্রুত গতিতে আরও দুটি বিমানবাহী রণতরী তৈরি করছে লালফৌজ। এর ফলে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে ভারত মঘসাগর অঞ্চলে (Indian Ocean Region) ক্যারিয়ার স্ট্রাইক গ্রুপ মোতায়েন করতে সক্ষম হবে বেজিং।