রেলের পর এবার জমি ও ডিপোরও বেসরকারিকরণের সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের
ট্রেন (Train) বেসরকারি সংস্থার হাতে তুলে দেওয়ার পরিকল্পনার সঙ্গে এবার রেলের (Indian Railway) জমি ও রক্ষণাবেক্ষণের ডিপোর একটা অংশ বেসরকারি সংস্থাকে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। নির্দিষ্ট ট্রেনগুলি যেখান থেকে ছাড়বে ও যেখানে পৌঁছবে সেই জায়গাগুলোতে রক্ষণাবেক্ষণের কাজের পরিকাঠামোর তড়িঘড়ি উন্নতি করতে হবে। এই কাজে বেসরকারি সংস্থাকে সেখানে জমি দিতে হবে। জমি না থাকলে রেলের রক্ষণাবেক্ষণের ডিপোর একটা অংশ দিতে হবে। যে অংশ ওই সংস্থাই উন্নতি ঘটিয়ে নেবে।
বারোটি ক্লাস্টারে ১৫১টি ট্রেনকে (Train) বেসরকারি সংস্থার হাতে দেওয়া হবে। সংশ্লিষ্ট রুটের সেই সকল জিএমদের দেওয়া ১৪ পাতার চিঠিতে রেল বোর্ডের (Rail Board) প্রিন্সিপাল এক্সিকিউটিভ ডাইরেক্টর ১০৯টি রুটের এই ট্রেনগুলি (Train) রক্ষণাবেক্ষণের জায়গা কোথায় দেওয়া হবে তা জানাতে বলেছেন। আগামী ৭ আগস্টের মধ্যে রেলবোর্ডকে বিষয়টি অবগত করে উত্তর দিতে বলা হয়েছে। রেলের জমি দেওয়ার পাশাপাশি ওয়াশিং লাইন পিট-এ দু’ঘন্টা ছেড়ে দিতে হবে ওই ট্রেন পরিষ্কার ও ইনস্পেকশনের জন্য। এই লাইনে যে সব জায়গায় বিদ্যুৎ নেই, সেখানে অবিলম্বে বিদ্যুৎ সংযোগ ঘটাতে হবে।
পূর্ব রেলের হাওড়ায় (Howrah) একাধিক বেসরকারি ট্রেনের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য জায়গা ও ডিপোর অংশ দেবার সুপারিশও করেছে রেল বোর্ড। বেসরকারি ট্রেনগুলির সধ্যে হাওড়া-পুনে সাপ্তাহিক, হাওড়া-চেন্নাই দৈনিক, হাওড়া-আনন্দ বিহার দৈনিক, হাওড়া-বেনারস ত্রিসপ্তাহিক ট্রেনগুলির রক্ষণাবেক্ষণের ব্যবস্থা হাওড়াতেই করার সুপারিশ করেছে। অন্যদিকে, হাওড়া-রাঁচি দৈনিক রাঁচিতে, হাওড়া-পুরী ত্রিসপ্তাহিক, হাওড়া-রাঁচি ট্রেনে দুটি রাঁচিতে, শিয়ালদহ-গুয়াহাটি ত্রিসপ্তাহিক শিয়ালদহে ও হাওড়া-ভাগলপুর ট্রেনটির রক্ষণাবেক্ষণের কাজ হবে ভাগলপুর।
রেলবোর্ডের এই চিঠি আসার পর তীব্র অসন্তোষ শুরু হয়েছে পূর্ব রেলে। মেনস ইউনিয়ন ও মেন্স কংগ্রেস উভয় কর্মী সংগঠন বৃহস্পতিবার থেকে আন্দোলনে নামছে। মেনস ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক অমিত ঘোষ অভিযোগের সুরে বলেন, “সরকারি সম্পত্তি বেসরকারি সংস্থাকে কীভাবে দেবে? আইন সংশোধন না করে এই জমি হস্তান্তর বেআইনি। পাশাপাশি রেলের রক্ষণাবেক্ষণের পিট দু’ঘন্টার জন্য বেসরকারি ট্রেন পরিষ্কার ও ইনস্পেকসনের জন্য দেওয়া চলবে না। বৃহস্পতিবার থেকেই এর প্রতিবাদ শুরু হবে। প্রয়োজনে বল প্রয়োগ হবে।” পূর্ব রেলের মেনস কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক বিনোদ শর্মা জানিয়েছেন, আন্দোলনের পাশাপাশি রাষ্ট্র বিরোধী কাজের জন্য সব রেলকর্মী সংগঠন যৌথভাবে ৯ আগস্ট ভারত ছাড়ো আন্দোলনকে উদ্দেশ্য করে কেন্দ্র সরকারকে দূর হঠানোর জন্য আন্দোলন করা হবে। প্রসঙ্গত, প্রাইভেট সংস্থাগুলোকে তৈরি করতে হবে মেকানিক্যাল ও ইলেকট্রিক্যাল মেন্টেনেন্স রুম, টুল রুম, স্পেয়ার পার্টস রুম, অফিস, ডিজেল জেনারেটর রাখার জায়গা, কম্প্রেসার রুম, রোলিং ইন এন্ড আউট এক্সামিন ব্যবস্থা।