গ্রামীণ অর্থনীতিকে বাঁচাতে স্বনির্ভর গোষ্ঠীকে ৩০ হাজার কোটি ঋণ রাজ্যের
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: ফের রাজ্য সরকারের সাহসী পদক্ষেপ। সূত্রের খবর, গ্রাম বাংলার অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে স্বনির্ভর গোষ্ঠীকে ৩০ হাজার কোটি টাকা ঋণ দিতে চলেছে রাজ্য সরকার। নতুন অর্থবর্ষে রাজ্যের পঞ্চায়েত দপ্তর স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলির জন্য এই বিপুল পরিমাণ ঋণ টার্গেট বেঁধে দিয়েছে। ইতিমধ্যেই এ বিষয়ে জেলাগুলিকে লক্ষ্যমাত্রা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। অর্থনীতির বিশেষজ্ঞরা আশা করছেন, এই উদ্যোগের ফলে গ্রামীণ অর্থনীতি সমৃদ্ধ হওয়ার সাথে সাথেই সমৃদ্ধ হবে রাজ্যের কোষাগারও।
আজ, মঙ্গলবার থেকে শুরু হচ্ছে রাজ্য সরকারের ‘শিল্পে সমাধানে’ কর্মসূচি। ব্লকে ব্লকে করা হবে শিবির। সেখানে থাকবে স্বনির্ভর গোষ্ঠীদের জন্য ঋণ-আবেদনের ব্যবস্থাও। জানা গিয়েছে, ২০২২-২৩ সালে রাজ্যে ক্রেডিট লিঙ্কেজে অভূতপূর্ব সাড়া মিলেছিল। ২০ হাজার কোটি টাকা ঋণের মাইল ফলকও ছুঁতে পেরেছিল জেলাগুলি। তাই ফের নয়া অর্থবছরে ২১ হাজার কোটি ঋণপ্রদানের লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়। পঞ্চায়েত দপ্তর সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা ঋণ প্রদান করা হয়ে গিয়েছে। পিছিয়ে পড়া জেলাগুলিকে আরও গতি বাড়ানোর পরমার্শ দিয়েছে সরকার।
প্রসঙ্গত, ১০০ দিনের কাজ, আবাস যোজনার টাকা দীর্ঘদিন ধরে আটকে রেখেছে কেন্দ্রের মোদী সরকার। ফলে সংকটে পড়েছে গ্রামবাংলার অর্থনীতি। এহেন পরিস্থিতিতে গ্রামীণ অর্থব্যবস্থাকে সচল রাখতে রাজ্য সরকারের ভরসা গ্রামীন স্বনির্ভর গোষ্ঠী। তাই নতুন অর্থবর্ষে তাদের ঋণ প্রদানের অঙ্ক নিয়ে যাওয়া হয়েছে ৩০ হাজার কোটি টাকায়। কেন্দ্রীয় বঞ্চনার আঘাত থেকে এই ঋণের মাধ্যমে গ্রামবাংলাকে খানিকটা হলেও বাঁচানো সম্ভব হবে বলে মনে করছেন রাজ্যের অর্থ ও পঞ্চায়েত দপ্তরের আধিকারিকেরা।