১৯শের লোকসভা ভোটে BJP-র নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার নেপথ্যে কী কারচুপি?

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: ইভিএমে কারচুপি করে ভোটে জিতেছে বিজেপি। ব্যালটে ভোট হলে নির্ঘাত হারত নরেন্দ্র মোদীর দল। বিরোধীরা এই অভিযোগ বারে বারে করে এসেছে। ২৪শের লোকসভা ভোটের আগে দিল্লির অশোকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাঙালি সহকারী অধ্যাপক সব্যসাচী দাসের গবেষণায় বিরোধীদের সেই অভিযোগের প্রমাণ উঠে আসছে। সম্প্রতি প্রকাশ করা তাঁর রিসার্চ পেপারে তিনি ইঙ্গিত দিয়েছেন, ২০১৯এর লোকসভা ভোটে বিজেপির সংখ্যাগরিষ্ঠতা ও জনপ্রিয়তার নেপথ্যে ছিল রীতিমতো কারচুপি ও প্রভাব খাটানো।
এই গবেষণাপত্র সামনে আসতেই দেশজুড়ে শুরু হয়ে গিয়েছে সমালোচনার ঝড়। বিজেপির অবশ্য সাফাই, এসব প্রমাণ ভিত্তিহীন। সরকার এবং দলকে কলুষিত করতেই এমন প্রচার চালানো হচ্ছে। অন্যদিকে অশোকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির সহকারী অধ্যাপক সব্যসাচী দাস ডেমোক্র্যাটিক ব্যাকস্লাইডিং ইন দ্য ওয়ার্ল্ড’স লার্জেস্ট ডেমোক্র্যাসি শীর্ষক গবেষণাপত্রে স্পষ্ট বলেছেন, ‘আমি প্রচুর তথ্য ও প্রমাণ সংগ্রহ করেছি। তার থেকেই বোঝা যাচ্ছে, কারচুপি হয়েছে। আর তা হয়েছে হাড্ডাহাড্ডি আসনগুলিতে। এর মধ্যে অধিকাংশই আবার সংখ্যালঘু প্রভাবিত। বিভিন্ন রাজ্যের আসন চিহ্নিত করে একেবারে বুথস্তরে কারচুপি হয়েছে। ক্ষমতায় থাকার সুবাদে রীতিমতো নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে বহু কেন্দ্রের ভোট প্রক্রিয়া। এমনকী কাজে লাগানো হয়েছে পর্যবেক্ষকের দায়িত্বে থাকা রাজ্যের সিভিল সার্ভিস অফিসারদেরও। এর ফলাফল গণতন্ত্রের ভবিষ্যতের জন্য আশঙ্কাজনক।’
এ প্রসঙ্গে বিরোধীদের প্রথম থেকেই অভিযোগ ছিল গেরুয়া শিবিরের সাফল্যের পিছনে ছিল কারচুপি, আইটি সেল, বিভিন্ন এজেন্সির হাত। কিন্তু সেইসব অভিযোগ অবশ্য শুরুতেই ধামাচাপা দিয়েছিল মোদী সরকার। কিন্তু এবার এই সহকারী অধ্যাপকের গবেষণাপত্র বিরোধীদের আনা মোদীর‘ভোট নিয়ন্ত্রণে’র অভিযোগকেই সমর্থন করে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। সেই সঙ্গে তাঁদের প্রশ্ন ২৪শের মহারণে মোদীর দলের সেই পুরাতন ‘কারচুপি’-রই কি প্রতিফলন হবে?