দেশে মুদ্রাস্ফীতি ঊর্ধ্বমুখী হলে কোপ পড়বে ঋণগ্রহীতাদের উপর?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: খাদ্যদ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধির ফলে মুদ্রাস্ফীতি ঊর্ধ্বমুখী হলে ভবিষ্যতে কঠোর নীতি গ্রহণের ইঙ্গিত দিল দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক। এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার RBI গভর্নর শক্তিকান্ত দাস জানিয়েছেন, মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের কাজ এখনও শেষ হয়নি। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে খাদ্যদ্রব্য ও জ্বালানির দাম, ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা ও আবহাওয়াজনিত অনিশ্চয়তার কারণে মুদ্রাস্ফীতির ঝুঁকি থেকেই গিয়েছে। চলতি অর্থবর্ষে সামগ্রিকভাবে মুদ্রাস্ফীতির হার হতে পারে ৫.১ শতাংশ। যদিও পরে তাদের পূর্বতন পূর্বাভাস বদল করে করা হয়েছে ৫.৪ শতাংশ। তবে RBI-এর বৈঠকে আর্থিক নীতি নির্ধারণ কমিটি সর্বসম্মতভাবে রেপো রেট ৬.৫০ শতাংশ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
তবে আপাতত স্বস্তির খবর, RBI-এর আর্থিক নীতি নির্ধারণ কমিটি জানিয়েছে, গুরুত্বপূর্ণ সুদের হার অপরিবর্তিতই থাকছে। এই নিয়ে টানা ৩য় বার সুদের হারে কোনও পরিবর্তন করা হল না। চলতি অর্থবর্ষের প্রথম ৩ মাসের মুদ্রাস্ফীতির হার ৪.৬ শতাংশে সীমাবদ্ধ করে রাখা সম্ভব হয়েছে। যদিও জুন মাসে তা বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ৪.৮ শতাংশ। আরবিআই আশা করছে যে, কয়েক মাসের মধ্যেই সব্জির দাম অনেকটা কমতে পারে। কারণ এবারে পর্যাপ্ত বর্ষায় খরিফ ফসলের উৎপাদন বাড়বে বলে তাদের অনুমান।
দেশের শীর্ষ ব্যাঙ্ক আরঝ জানিয়েছে যে, শীঘ্রই পুরনো ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনতে চলেছে তারা। ফলে ‘ফ্লোটিং’ (পরিবর্তনশীল সুদের হার)-এর পাশাপাশি ‘ফিক্সড’ (স্থায়ী সুদের হার)-এ ঋণ শোধ করার সুযোগ পাবে ঋণগ্রহীতারা। ফিক্সড রেট বেছে নিলে গাড়ি, বাড়ি সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ঋণ বাড়লেও তার প্রভাব ঋণগ্রহীতার উপর পড়বে না। যদিও আরবিআই-এর তরফ থেকে এই ব্যবস্থা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য এখনও পর্যন্ত প্রকাশ করা হয় নি।