আজও অমলিন জলপাইগুড়ির প্রাচীন পীঠ গর্ভেশ্বরী মন্দিরের পুজো

জনশ্রুতি, জলপাইগুড়ির বৈকুন্ঠপুর রাজবংশের নিত্য পূজিতা ছিলেন দেবী গর্ভেশ্বরী।

August 12, 2023 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi
জলপাইগুড়ির প্রাচীন পীঠ গর্ভেশ্বরী মন্দিরের পুজো

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: জলপাইগুড়ির সাতকুড়া মানিকগঞ্জ এলাকায় প্রাচীন পীঠ গর্ভেশ্বরী মন্দিরে মা মহামায়া রূপে পূজিত হন দেবী দুর্গা। জনশ্রুতি, জলপাইগুড়ির বৈকুন্ঠপুর রাজবংশের নিত্য পূজিতা ছিলেন দেবী গর্ভেশ্বরী। এখানে রয়েছে আরও এক দেবী গর্তেশ্বরী। কষ্টিপাথরের নির্মিত দেবী গর্ভেশ্বরীর মূর্তির পাশে ঘট বসিয়ে দেবী দুর্গার আরাধনা করা হয়।

জানা যায়, পূর্বে এই প্রাচীন মন্দির পরিচালনা করত বৈকুন্ঠপুর রাজপরিবার। সেই সময়ে এই এলাকা ছিল দুর্গম জঙ্গলে ঢাকা। রাজারা সে সময় হাতির পিঠে চেপে পূজা দিতে আসতেন। বৈকুন্ঠপুর রাজপরিবারের সর্বশেষ রাজা প্রসন্নদেব রায়কত স্বয়ং এই মন্দিরে পুজো দিয়েছিলেন। সেই সময়ে বৈকুন্ঠপুরের রাজারা দেবীর নিত্য সেবার জন্য বিপুল পরিমাণ জমি দেবী গর্ভেশ্বরীর নামে দান করে গিয়েছেন।

কষ্টি পাথরে নির্মিত দেবী গর্ভেশ্বরী চতুর্ভুজা। শঙ্খ, চক্র, গদা ও পদ্মধারিনী। দেবীর পদতলে গণেশ। দেবীর বামপদ স্থাপিত গণেশের বাম কাধে। এখানে গণেশ বিরাজিত পদ্মের উপর। কথিত রয়েছে, দেবী সতীর আঙ্গুল বিহীন বাম পদ এই স্থানে পতিত হয়েছিল। যা মন্দিরের গর্ভগৃহে সংরক্ষিত আছে। অপরদিকে দেবী গর্তেশ্বরী দ্বিভূজা। তিনি মহাদেবের ভ্রামরী নামে পরিচিত। দক্ষিণ বেরুবাড়ীর এই পবিত্র স্থান পাঙ্গা, যমুনা ও করতোয়া নদীর মিলনস্থলে অবস্থিত। এই কারণে গর্ভেশ্বরী মন্দিরকে ত্রিস্রোতা পিঠও বলা হয়।

দুর্গাপুজোর সপ্তমী-নবমীর দিন পর্যন্ত এই মন্দিরে মহাসমারোহে পুজো চলে। এই সময় মন্দির প্রাঙ্গণে প্রচুর পুণ্যার্থী ভিড় জমান । এছাড়াও অষ্টমীর দিন এই মন্দিরে
কুমারী পুজো হয়। প্রতিবছর চৈত্র মাসের শেষে মন্দির চত্বরে একটি বড় মেলা বসে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen