ঠিক যেন সিধু জ্যাঠা! কীসের সংগ্রহশালা গড়েছেন বারুইপুরের উজ্জ্বল?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: ফেলুর মুশিকল আসান ছিলেন সিধু জ্যাঠা, কোনও কিছু জানতে চাইলেই বেরিয়ে পড়ত মোটা মোটা খাতায় আটকানো খবরের কাগজের কাটিং। ঠিক তেমনই বাস্তবের এক সিধু জ্যাঠার খোঁজ মিলেছে। তাঁরও নেশা সংবাদপত্র জমানো। বিশেষ বিশেষ দিনের, বিশেষ বিশেষখবর সম্বলিত সংবাদপত্র রয়েছে তাঁর সংগ্রহশালায়।
মহাত্মা গান্ধীর মৃত্যুর পর কী লেখা হয়েছিল বঙ্গের সংবাদপত্রে? জহরলাল নেহরু, লালবাহাদুর শাস্ত্রীর মৃত্যুর পরে কী লিখেছিল বাংলার দৈনিকগুলি? ওপার বাংলার মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কী খবর বেরিয়েছিল এপার বাংলার সংবাদপত্রে? উজ্জ্বলের সংগ্রহশালায় রয়েছে সব কিছুই, ফেলে আসা সময় এখানে জীবন্ত। ইন্দিরা গান্ধী, সত্যজিৎ রায়, উত্তমকুমারের মৃত্যুর পরের দিনগুলিতে কী লেখা হয়েছিল বিভিন্ন সংবাদপত্রে, বারুইপুরের বাসিন্দা অসম বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক উজ্জ্বল সর্দারের সংগ্রহশালায় মিলবে সেগুলিও।
বারুইপুরের শিখরবালি ২ পঞ্চায়েত এলাকার কুন্দরালির বাসিন্দা উজ্জ্বল, নিজের গ্রামের বাড়িতেই পুরনো বিভিন্ন সংবাদপত্রের নানা গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার প্রতিবেদন নিয়ে সংগ্রহ গড়ে তুলেছেন। দূরদূরান্তের মানুষ ভিড় করেন উজ্জ্বলের সংগ্রহশালায়। উজ্জ্বল সুন্দরবনের অর্থনৈতিক ও সামাজিক ইতিহাস নিয়ে গবেষণা করেছেন। ছোট থেকেই তাঁর শখ ছিল বিভিন্ন জিনিস সংগ্রহ করার। সেই নেশা থেকেই গড়ে উঠেছে সংগ্রহশালা। সংগ্রহের বিষয়ে উজ্জ্বলের বক্তব্য, আগে টিনের বাক্সে পুরনো কাগজ মুড়ে জামাকাপড় রেখে দেওয়া হত। সেখান থেকেই তিনি কিছু কাগজ সংগ্রহ করেছেন। শুভানুধ্যায়ী, পরিচিতরাও সংবাদপত্র দিয়েছেন। বাড়ি পরিষ্কার করতে গিয়ে অনেকেই কাগজ ফেলে দিয়েছিলেন, সেখান থেকেও সংগ্রহ করেছেন তিনি। পুরনো বইয়ের দোকান থেকেও সংগ্রহ করেছেন। সব কাগজ শক্ত প্লাইউড বোর্ডের উপর ছড়িয়ে রেখেছেন উজ্জ্বল। এক একটা কাগজ আলাদাভাবে রাখা রয়েছে। পোকার আক্রমণ ঠেকাতে সব কাগজের মাঝে তামাক পাতা বা দোক্তা পাতা রেখেছেন তিনি।