একসময়ে বলিউডের লাইমলাইটে থেকেও মর্মান্তিক শেষ জীবন! চেনেন তাঁদের?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: বলিউডে একসময়ে এদের মুকুটে উজ্জ্বল ছিল সাফল্য। লক্ষাধিক টাকা উপার্জন , লাইফস্টাইল ছিল আভিজাত্যপূর্ণ। তাঁদের সৌন্দর্য্য, ফ্যাশন সেন্স বি টাউনে প্রশংসিত ছিল। সেই সময় পাহাড়সম লক্ষ্মীলাভ সত্ত্বেও তাঁদের শেষ জীবনে কেউ বিনা চিকিৎসায় আবার কেউ খেতে পেয়ে মারা গেছেন। সেই সমস্ত সেলিব্রেটিদের রইল তালিকা
কুকু মোর:
৪০ এবং ৬০ এর দশকে বলিউডে দাপুটে অ্যাংলো-ইন্ডিয়ান অভিনেত্রী কুকু মোর। শোনা যায়, তাঁর শেষ দিনগুলি দারিদ্র্যের মধ্যে কাটিয়েছেন। ১৯৮১ সালে তিনি ক্যান্সারে মারা যান।
মীনা কুমারী:
বলিউডের ট্র্যাজেডি কুইন মীনা কুমারী। বিটাউনের সেই সময়ের সবচেয়ে দামি অভিনেত্রীদের একজন ছিলেন তিনি।ঔ শোনা যায়, জীবনের শেষ সময়ে এতটাই পরিস্থিতি খারাপ হয়েছিল যে হাসপাতালের বিল মেটানোর টাকাও তাঁর কাছে ছিল না। মাত্র ৩৮ বছর বয়সে মারা যান তিনি।
পারভিন বাবি:
৭০ এবং ৮০-র দশকের অন্যতম সেরা অভিনেত্রী পারভিন বাবি। যিনি শেষ বয়স চরম আর্থিক সংকটে নিঃসঙ্গতায় কাটিয়েছেন। জানা গেছে, ২০০৫-এর জানুয়ারিতে তাঁর নিজস্ব অ্যাপার্টমেন্টে মারা গিয়েছিলেন।
ভিমি:
৭০ -এর দশকে ‘হমরাজ’-এর মতো ছবিতে অভিনয় করে একেবারে লাইম লাইট এসেছিলেন ৷ ভিমিও তাঁর জীবনের শেষ দিনগুলি একাকীত্ব এবং আর্থিক সংকটে কাটিয়েছেন। শোনা যায়, তাঁর মৃতদেহ ঠেলা গাড়িতে করে শ্মশানে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।
নলিনী জয়বন্ত:
কাজলের দিদা শোভনা সমর্থের খুড়তুতো বোন নলিনী জয়বন্তও দারিদ্র্যের মধ্যেই মারা যান। শোনা যায় , তাঁর কাছে শেষ মুহূর্তে হাসপাতালের বিল মেটানোর টাকা ছিল না।
এ কে হাঙ্গল:
বহু বড় বাজেটের সিনেমার অংশীদার এ কে হাঙ্গল ২০১২ সালে মারা গেছেন৷ শোনা যায়, এই অভিনেতার চিকিৎসার জন্য কোনও টাকা অবশিষ্ট ছিল না, তখন অমিতাভ বচ্চন তাঁকে ২০ লক্ষ টাকা দিয়ে সাহায্য করেছিলেন।
ভরত ভূষণ:
একসময় ভারতীয় সিনেমার সবচেয়ে সুদর্শন অভিনেতা ভারত ভূষণ। তাঁর বহু ছবি ছিল সুপারহিট৷ কিন্তু তাঁকে জুয়ার নেশা শেষ করে দেয়। শোনা যায়, তাঁর বিলাসবহুল জীবনযাপনের শেষ দিনগুলি ভাঙা বাড়িতে কাটে। ১৯৯২ সালে হতদরিদ্র অবস্থায় মারা যান তিনি।