রেল-সহ বহু মন্ত্রকের ভাঁড়ার শূন্য, পেনশন দেওয়ার টাকা নেই!
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী স্বপ্ন দেখাচ্ছেন, তাঁর তিন নম্বর ইনিংসে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হবে ভারত। মোদী সরকার প্রচারে বরাদ্দ বাড়িয়ে চলেছে। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে রেল-সহ বহু মন্ত্রকের ভাঁড়ার এখন কার্যত শূন্য! এতটাই খারাপ অবস্থা যে অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদের পেনশনের টাকা জোগাড় করতে গলদঘর্ম অবস্থা। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনও হাত তুলে নিচ্ছেন।
রেল সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সাম্প্রতিক রিপোর্টে পেনশনের বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে। জবাবে কমিটিকে রেলমন্ত্রক জানিয়েছে, ‘অতীতে কমিটির সুপারিশ সত্ত্বেও রেলের পেনশন সংক্রান্ত দায়ভারের অন্তত কিছু অংশ বহন করতেও অর্থমন্ত্রক রাজি হয়নি। এরপরও সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বর্তমান সুপারিশ মেনে আবার অর্থমন্ত্রকের কাছে এই মর্মে আর্জি জানানো হয়েছে।’
সংসদীয় কমিটি রেলকে সুপারিশ করেছে, সমস্যার সুরাহায় অবিলম্বে বিষয়টি নিয়ে অর্থমন্ত্রকের সঙ্গে কথা বলতে হবে। ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে গত জানুয়ারি পর্যন্ত রেলের পেনশন খাতে খরচের পরিমাণ ৪৮ হাজার ১০৮ কোটি টাকা। যা বছর শেষে দাঁড়াবে ৫৬ হাজার কোটি টাকা। এক্ষেত্রে বাজেট বরাদ্দ এবং সংশোধিত বাজেট বরাদ্দের মধ্যেও বিস্তর ফারাক রয়েছে। গত পাঁচ বছর ধরেই এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষের বাজেট বরাদ্দে পেনশন খাতে খরচ ৬২ হাজার কোটি টাকা ধরেছে রেলমন্ত্রক। রাজস্ব আদায় থেকে পেনশন ফান্ডে ৭০ হাজার ৬১৬ কোটি টাকা ‘রিজার্ভ’ রাখার পরিকল্পনা করা হয়েছে। কমিটিকে রেল জানিয়েছে, ‘সপ্তম কেন্দ্রীয় পে কমিশনের সুপারিশ মানতে গিয়ে ২০১৬-১৭ এবং ২০১৭-১৮ অর্থবর্ষে স্টাফ-কস্ট ও পেনশন খরচ অত্যধিক বেড়েছে। সেই অনুপাতে রাজস্ব আদায় কিন্তু বাড়েনি।’
আর শুধুই তো রেল নয়! বহু মন্ত্রকেরই কোষাগারে টান পড়েছে। সেইমতো কাটছাঁট করা হচ্ছে প্রকল্পে। যেমন ১০০ দিনের কাজে ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষের বাজেট বরাদ্দ কমে হয়েছে ৬০ হাজার কোটি টাকা। গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের বিভিন্ন কেন্দ্রীয় প্রকল্পে ২০২৩-২৪ সালের বরাদ্দ কমে হয়েছে ১ লক্ষ ৫৭ হাজার ২৫২ কোটি। কমেছে ভাবা অ্যাটমিক রিসার্চ সেন্টারের বরাদ্দও।