গাট্টা খেতে উপচে পড়ছে ভিড়! জানেন কোথায়?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: হুগলির জানাইয়ে নেমেছে মানুষের ঢল, তাও আবার গাট্টার জন্য। জানাইয়ের ঐতিহ্যবাহী খাবার গাট্টার দেখা, আজও সেখানে পাওয়া যায়।
মুখে জল আনা জনাইয়ের গাট্টা আসলে কী? কীভাবে তা বানানো হয়?
নরম কলমি শাক কুচি কুচি করে কেটে তাতে নুন, আদা বাটা, মটর ও ডালের বেসন মেশানো হয়। কোনও কোনও দোকান আবার হিংও ব্যবহার করে। মিশ্রণ ভাল করে ফেটিয়ে, তা থেকে ছোট বলের আকারে গড়ে ছাঁকা তেলে ভাজা হয়। এভাবেই তৈরি হয় এই বিখ্যাত তেলেভাজা। জনাইয়ের কলমি শাকের এই ঐতিহ্যবাহী তেলেভাজার চলতি নাম গাট্টা। বাংলার অন্য কোনও প্রান্তে এই বড়ার দেখা মেলে না খুব একটা।
গাট্টার দাম কোথাও এক টাকা, আবার কোথাও দু’টাকা। জনাই বাজারে অবস্থিত দীর্ঘদিনের পুরনো লাল্টু নন্দী ও পল্টু নন্দী, দুই ভাইয়ের দোকানে তেলেভাজা কেনার ধুম পড়ে। কারণ এখানে এক ও দু’টাকার তেলেভাজা পাওয়া যায়। গাট্টা ভাজার দাম দু’ টাকা। লাল্টুবাবুর বক্তব্য, গ্রামীণ এলাকা বলেই দাম সাধারণের নাগালের মধ্যে রাখা হয়। গত দশ বছর ধরে, তাঁরা একই দাম রেখেছেন। জিনিসের দাম বাড়লে তেলেভাজার সাইজ একটু ছোট করা হয়। দাম বাড়ানো হয় না। বিক্রেতাদের কথায়, গাট্টা ভাজা হল জনাইয়ের স্পেশাল খাবার। জনাই ছাড়া অন্য কোথাও তা পাওয়া যায় না। গাট্টা বিক্রেতারা বলেন, লাভ ছাড়া ব্যবসা চলে না। কিন্তু ঐতিহ্যও রয়েছে। এই দুটোই তাঁরা বজায় রাখার চেষ্টা করেন। তাই দাম নাগালের মধ্যেই রাখা হয়।