আরও একটা চিড়িয়াখানা, জানেন বাংলার কোথায় খুলছে মিনি জু?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: বাংলার সঙ্গে চিড়িয়াখানা সম্পর্ক সুপ্রাচীন, ইউরোপের বাইরে বাংলাতেই প্রথম চিড়িয়াখানা খোলা হয়েছিল। ব্যারাকপুরেই ছিল পৃথিবীর তৃতীয় চিড়িয়াখানা। তারও বহুকাল পর তৈরি হয় আলিপুর চিড়িয়াখানা। এবার কলকাতার অনতিদূরে গড়চুমুকে খুলতে চলেছে একটি মিনি জু। অজগর থেকে এমু, সজারু থেকে কুমির, হরিণ থেকে ময়ূর, কী নেই গড়চুমুকের মিনি জুতে। সঙ্গে রয়েছে নানান পাখির কলরব। মিনি চিড়িয়াখানার দরজা খুলবে কবে, অপেক্ষায় দর্শক, পর্যটকরা।
হাওড়া জেলার অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র হল গড়চুমুক, সেখানেই রয়েছে মিনি জু। যা এখন অনেকটাই প্রস্তুত। কবে মিনি চিড়িয়াখানা সাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হবে, তা নিয়ে সরকারিভাবে এখনও কিছু জানানো হয়নি, সব ঠিকঠাক থাকলে এই মাসের শেষেই চিড়িয়াখানা ঘুরে দেখার ছাড়পত্র পাবে আম জনতা। ফের পর্যটকদের ভিড়ে জমে উঠবে গড়চুমুক।
একদা গড়চুমুক পর্যটন কেন্দ্রের নিয়ন্ত্রক ছিল হাওড়া জেলা পরিষদ। সে সময় নাম ছিল ডিয়ার পার্ক। পরে বনদপ্তরের হাতে চলে যায় সেটি। পর্যটন কেন্দ্রের ১২.৪৩ হেক্টর জায়গা জুড়ে বনদপ্তর মিনি জু গড়ে তুলেছে। একাধিক পশুপাখির উপস্থিতিতে জমজমাট চিড়িয়াখানা। কাকাতুয়া, ময়ূর, পাইথন, সজারু, সিলভার ফ্রেজান্ট, ইগুয়ানা, কচ্ছপ, বাঘরোল ইত্যাদিও রয়েছে। ২৪টি প্রজাতির পাখি রয়েছে এখানে। পশুপাখির জন্য একাধিক এনক্লোজার তৈরি করা হয়েছে। এনক্লোজারগুলি লোহার জাল দিয়ে ঘেরা। তার গায়ে ঝুলছে সুদৃশ্য বোর্ড। এক এনক্লোজার থেকে অন্য এনক্লোজারে যাওয়ার জন্য তৈরি হয়েছে ঢালাই রাস্তা। বনদপ্তর সূত্রে খবর, মিনি জু-তে আরও পশুপাখি আনা হবে। মিনি জু খুলে দিলে গড়চুমুকে আবার পর্যটকদের আনাগোনা বাড়বে, এই আশায় বুক বাঁধছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।