BJP-র অন্দরে চোরাস্রোত? অপারেশন লোটাসের পাল্টা কি শুরু হচ্ছে?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: কর্মফলের ভয় কাঁটা বিজেপি? গেরুয়া শিবিরের ঘুম কেড়েছে কংগ্রেসের নতুন মিশন, ‘অপারেশন হস্ত’। ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছে পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা ভোট। তার পরই আগামী বছর লোকসভা নির্বাচন। হঠাৎই চব্বিশের প্রাক্কালে দেশজুড়ে বিজেপির অন্দরে দলত্যাগ আর বিদ্রোহের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। বাংলাও ব্যতিক্রম নয়। তবে কি রাজ্যে রাজ্যে বিজেপির বিরুদ্ধে চোরাস্রোত বইছে?
ভোটের আগে কংগ্রেস বা অন্য দল ছেড়ে জনপ্রতিনিধি, নেতারা দলে দলে বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন। গত সাড়ে ৯ বছর ধরে এটাই দেখছে ভারতীয় রাজনীতি। অবিজেপি সরকারে, বিরোধী দলে ভাঙন ধরিয়ে কার্যসিদ্ধি করতে, সিদ্ধহস্ত হয়ে উঠেছে প্রধানমন্ত্রী মোদীর দল। রাজনীতির ভাষায় যার নাম অপারেশন লোটাস। এবার তার জবাব দিতে শুরু করেছে কংগ্রেস। যার নাম হচ্ছে অপারেশন হস্ত।
২০১৮ সালের কর্ণাটক বিধানসভা নির্বাচনে জিতে সরকার গড়েছিল কংগ্রেস-জেডিএস জোট। বছর ঘুরতেই কংগ্রেস-জেডিএস বিধায়করা দল ছেড়ে বিজেপির সঙ্গে দল বেঁধে জোট সরকারের পতন ঘটায়। তারপর বিজেপির সরকার গঠিত হয়। সেই দলত্যাগী কংগ্রেস নেতারাই কামব্যাক করছেন। কর্ণাটকে বিজেপি ক্রমেই ডুবছে। মধ্যপ্রদেশেও ২০২০ সালে করোনাকালে কংগ্রেস সরকারের পতন ঘটিয়েছিল বিজেপি। জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া ও তাঁর অনুগামী বিধায়করা বিজেপিতে যোগ দেন, সিন্ধিয়া রাজ্যসভার আসন ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রক পান। মধ্যপ্রদেশের ভোট আসন্ন। জ্যোতিরাদিত্যকে মুখ্যমন্ত্রী করার কথা ভাবছেই না গেরুয়া শিবির। এমনকী সিন্ধিয়া অনুগামীরা অনেকেই প্রার্থী হতেও পারবেন না। তাই সে’রাজ্যে ফের কংগ্রেসে প্রত্যাবর্তন শুরু হয়েছে। ছত্তিশগড়ে রামন সিংয়ের অনুগামী একের পর এক বিজেপি নেতা হাত শিবিরে যোগ দিচ্ছেন। করুন দশা সংগঠনের।
বঙ্গেও একই হাল। লোকসভা নির্বাচনে এক বা একাধিক সাংসদ টিকিট না পেলেই, বাংলার সংগঠনে বিদ্রোহ শুরু হবে, এমনই আশঙ্কায় করছে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। টিকিট না পেলেই অনুগামীদের নিয়ে নিষ্ক্রিয় হয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা সেরে রেখেছেন বহু নেতা। লোকসভা ভোটের মুখে ভিন দলে যোগও দিতে পারেন অনেকে। ভোটের মুখে বিদ্রোহ সামাল দেওয়ার চিন্তায় এখন থেকেই বেসামাল বঙ্গ বিজেপি। উত্তরবঙ্গ এবং জঙ্গলমহলের কয়েকটি আসনে টিকিট নিয়ে কোন্দলে চরমে পৌঁছতে পারে বলে অনুমান, সব মিলিয়ে শঙ্কিত বিজেপি।