পুজো স্পেশাল বিভাগে ফিরে যান

জেনে নিন হংসবেড়িয়া মহাশ্মশানে কৃষ্ণকালী পুজোর কাহিনী

August 24, 2023 | < 1 min read

হংসবেড়িয়া মহাশ্মশানে কৃষ্ণকালী পুজো

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: কালীপুজোর রাতে পঞ্চমুণ্ডির আসনে বসে তন্ত্রমতেই হোম ও পুজো চলে সারা রাত ধরে। বহু বছর ধরে ওই প্রথা চলে আসচ্ছে মগরাহাটের মুলটি হংসবেড়িয়া মহাশ্মশানের কৃষ্ণকালীর পুজোতে।

শোনা যায়, স্বাধীনতা সংগ্রামী স্বরূপা নন্দ কলকাতা থেকে পালিয়ে শ্মশানের ওই প্রাচীন গাছের কোটরে সাধু বেশে বসবাস শুরু করেন। প্রচুর শকুন ও শিয়ালের আস্তানাও ছিল ওই প্রাচীন গাছে। পরে পাশেই ফাঁকা জমিতে ছিটে বেড়ার ঘরে থাকতেন স্বরূপানন্দ। তিনি স্বপ্নে দেখেন, কৃষ্ণকালীর পুজো করলে সকলেরই মঙ্গল হবে। সেই থেকেই শুরু ওই হয় কালীপুজোর রাতে কৃষ্ণকালীর পুজো।

কথিত আছে, বহু বছর আগে মগরাহাটের এই অঞ্চলটি প্রায় কয়েক বিঘা জুড়ে একটি প্রাচীন বটগাছ ছিল। আশেপাশে তখন কোনও জনপদ গড়ে ওঠেনি। বহু বছর ধরেই ওই বটবৃক্ষের পাশ দিয়ে বয়ে চলা গঙ্গার পাড়ে শবদাহের কাজ হতো।

জনশ্রুতি, এই কৃষ্ণকালী পুজোর দিন-রাতে এক কড়া খিচুড়ি তৈরি হতো শুধু শিয়ালদের জন্য। সাধকের এক ডাকে পালে পালে শিয়াল জড়ো হয়ে খিচুড়ি খেত। তারপরেই অন্যদের জন্য খিচুড়ি বিতরণের রীতি ছিল।

মন্দিরটির মধ্যে কালো রঙের প্রায় চার ফুট উচ্চতার দাঁড়ানো পাথরের কৃষ্ণকালী। বাঁ হাতে শোল মাছ। অন্য হাতে, বরাভয় ও কারণ পাত্র। পৌরাণিক মতে, শোলমাছ জীবনের প্রতীক। আর কারণপাত্র অর্থাৎ মদ, জীবনের উৎস। আজ‌ও দেবীর সামনে বড় যজ্ঞের ব্যবস্থা হয়।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#West Bengal, #hansaberia, #mahasashan, #krishnakali pujo

আরো দেখুন