নতুন আইনে ‘সন্ত্রাসবাদী’ বলে যে কোনও ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করতে পারবে পুলিশ?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: এবার বন্যার পিছনে হাত থাকলে বা কোনওভাবে বন্যার কারণ হলে সেই অপরাধ গণ্য হবে সন্ত্রাসবাদ হিসেবে।
কোনও ব্যক্তি “অস্ত্র, বিস্ফোরক, পরমাণু, তেজস্ক্রিয় বা অন্য কোনও দাহ্য, বন্যা, বা বিস্ফোরক জাতীয় সামগ্রি বহন, সরবরাহ, উৎপাদন, সংগ্রহ করলে তাকে সন্ত্রাসবাদী হিসেবে গণ্য করা হবে।” এমনই বিধি উল্লেখ করা হয়েছে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা বিলে। ২৪ আগস্ট বিলটি নিয়ে তিনদিনের আলোচনা শুরু করেছে স্বরাষ্ট্র বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। সাধারণ আইনের মধ্যেই সন্ত্রাসবাদী আইনকে ভিন্ন অপরাধ হিসেবে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা বিলে উল্লেখ করা হয়েছে। সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের ওপর বিশেষ জোর দিয়ে ইউএপিএ ধারাকে বিশেষ আইন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
বাদল অধিবেশনে পেশ করা ভারতীয় ন্যায় সংহিতা বিলে আইনের অপব্যবহার রুখতে যেমন ইউএপিএ বা মহারাষ্ট্র কন্ট্রোল অফ অর্গানাইজড ক্রাইমের আওতায় বিধি রয়েছে, তেমন কোনও বিধি নতুন বিলে রাখা হয়নি। তবে কী এই বিধির অপব্যবহার বা অপপ্রয়োগের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। এই নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন আইনজীবীরা। ইউএপিএ আইনের সমালোচনা হয়েছে দেশজুড়ে।
২০১৮ থেকে ২০২০ পর্যন্ত সময়ে সন্ত্রাস বিরোধী আইনে গ্রেপ্তার হয়েছে ৪,৬৯০ জনকে, বলছে পরিসংখ্যান। তবে তারমধ্যে শাস্তি পেয়েছে মাত্র ৩ শতাংশ। এই আইনের সাংবিধানিক বৈধতা নিয়েও সুপ্রিম কোর্টে মামলা রুজু হয়। সন্ত্রাসবাদী আইনের বিধি যুক্ত না করে নতুন বিলে সমস্তরকমের রক্ষাকবচ এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে, বলা হয়েছে আইনজীবী এবং ওয়াকিবহাল মহলের তরফে। ফলে, সন্ত্রাসবাদী বলে চিহ্নিত করে যে কোনও ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করতে পারবে পুলিশ। ২০২২ সালে অসমের শিলচরে ব্যাপক বন্যায় ১২০ জনের মৃত্যু হয়। সেই বন্যাকে মানুষের দ্বারা তৈরি করা বলে ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।