দেশ বিভাগে ফিরে যান

ডেলিভারি পার্টনারদের উপার্জন, চাকরির নিরাপত্তা নিয়ে কী জানাচ্ছে NCAER?

August 29, 2023 | 2 min read

ডেলিভারি পার্টনারদের উপার্জন, চাকরির নিরাপত্তা নিয়ে কী জানাচ্ছে NCAER?

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: প্রযুক্তি আর ইন্টারনেট পরিষেবায় ভর করে, জীবনের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হয়ে উঠেছে বিভিন্ন ফুড অ্যাপ্লিকেশন। কয়েকটা ক্লিক আর তাতেই পছন্দের খাবার চলে আসছে দোরগোড়ায়। ফুড অ্যাপগুলি কর্মসংস্থানও জুগিয়েছে, কারণ খাবার সরবরাহের জন্য সরবরাহকারী প্রয়োজন। একটা স্মার্টফোন আর একটা মোটরবাইক থাকলেই হল, যে কেউ ডেলিভারি পার্টনারের কাজ করে উপার্জন করতে পারবেন। কিন্তু দক্ষতার যে অভাব রয়েছে। অ্যাপ নির্ভর খাদ্য সরবরাহের গোটা প্রক্রিয়া দক্ষতার অভাবে ভুগছে। ন্যাশনাল কাউন্সিল অফ অ্যাপ্লায়েড ইকোনমিক রিসার্চের সাম্প্রতিক একটি রিপোর্ট বলছে, অ্যাপ ভিত্তিক খাদ্য সরবরাহ পরিষেবায় নিযুক্তদের মধ্যে পারদর্শীতার খামতি রয়েছে।

কারা করেন এই ডেলিভারির কাজ? কারা পৌঁছে দেন আমার-আপনার পছন্দের খাবার? এনসিএইআরের দাবি, ফুড ডেলিভারি অ্যাপের মাধ্যমে যাঁরা খাদ্য সরবরাহ করেন, তাঁদের প্রায় ৩২ শতাংশ কলেজ উত্তীর্ণ। প্রায় ৫৪ শতাংশেরও বেশি সংখ্যক ডেলিভারি কর্মী দ্বাদশ উত্তীর্ণ।

এনসিএইআর ২০২২ সালের এপ্রিল ও মে মাসে দেশের ২৮টি শহরজুড়ে সমীক্ষা চালিয়েছে। একটি নির্দিষ্ট অ্যাপ নির্ভর ফুড ডেলিভারি সংস্থার ৯২৪ জন ডেলিভারি কর্মীর থেকে তারা তথ্য সংগ্রহ করেছেন। সমীক্ষায় দেখা নিয়েছে, দেশে ফুড ডেলিভারি কর্মীর গড় বয়স ২৯ বছর। সমীক্ষায় উঠে এসেছে, অনেকেই হঠাৎ করে কাজ হারিয়ে ফুড ডেলিভারির কাজ নিয়েছেন। আকস্মিক বেকারত্বের ধাক্কা সমালাতেই বেছে নিয়েছে খাবার সরবরাহের কাজ। ৯ শতাংশ ডেলিভারি কর্মী বলছেন, পূর্ববর্তী পেশা হারানোর কারণেই তারা এই কাজে এসেছেন। ৩১.৬ শতাংশ কর্মী জানিয়েছেন, পাঁচ-সাড়ে পাঁচ মাস যাবৎ কাজ হারিয়ে বেকার থাকার পর বাধ্য হয়ে তাঁরা ফুড ডেলিভারি কর্মীর চাকরি নিয়েছেন। অতিমারি এই প্রবণতা বাড়িয়ে দিয়েছে।

সমীক্ষায় আরও একটি দিক উঠে এসেছে। জানা যাচ্ছে, শহরাঞ্চলের পুরুষ শ্রমিকদের তুলনায় খাদ্য সরবরাহকারী কর্মীদের অতিরিক্ত কাজ করতে হয়। অনেক ক্ষেত্রেই শহরাঞ্চলের একজন শ্রমিকের চেয়ে তাঁরা বেশি উপার্জন করে। ফুড ডেলিভারি কর্মী গড়ে শহরাঞ্চলের শ্রমিকদের তুলনায় ২৭.৭ শতাংশ বেশি কাজ করে, তবে ডেলিভারি কর্মীদের গ্রস আয় কিয়দাংশে বেশি। জ্বালানি খরচ বাড়ায় আয় বৃদ্ধির হার কমেছে।

তবে ডেলিভারি কর্মীদের তুলনায় তাদেরই প্রায় সমগোত্রীয় পিয়ার গ্ৰুপের আয় বেশি। মাসিক আয়ে প্রায় আড়াই হাজার টাকার ফারাক রয়েছে। পিয়ার গ্রুপে কর্মীদের গড় বয়স ১৮-৩৫ বছর। ডেলিভারি কর্মীরা তাদের তুলনায় ২৩ শতাংশ বেশি কাজ করত কিন্তু তাদের চেয়ে ৮ শতাংশ কম আয় করে।

সমীক্ষায় উঠে আসা কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়:

একজন লং-শিফট কর্মী গড়ে দৈনিক ১০.৮ ঘন্টা কাজ করে।
একজন শর্ট-শিফট কর্মী গড়ে দিনে ৫.২ ঘন্টা কাজ করে। শ্রমিকদের অধিকাংশই পুরুষ প্রায় ৯৯ শতাংশ। টায়ার ওয়ান, টায়ার টু এবং টায়ার থ্রি শহরে সমীক্ষা চালানো হয়েছিল। জানা যাচ্ছে, ফুড ডেলিভারি সেক্টরে ১০০ শতাংশ শ্রমিকের লিখিত চুক্তি ছিল। অন্যদিকে, কেবলমাত্র ৩১শতাংশ লং-শিফট কর্মীদের; তাদের পূর্ববর্তী চাকরিতে এক বছরেরও বেশি সময়ের মেয়াদভিত্তিক লিখিত চুক্তি ছিল। শর্ট-শিফট
কর্মীদের মধ্যে, ৪৪.২ শতাংশ জানিয়েছেন; তাদের চাকরিতে লিখিত চুক্তি রয়েছে।

২৬ শতাংশ লং-শিফট কর্মী এবং ২১ শতাংশ শর্ট-শিফট কর্মী জানিয়েছেন, তাঁরা নিয়োগকর্তাদের থেকে স্বাস্থ্য বীমা পেয়েছেন। অন্যদিকে, খাদ্য সরবরাহকারী কর্মীদের প্রায় সকলেই বলেছেন, তাঁদের দুর্ঘটনা বীমা রয়েছে। তবে, তাঁদের বেশিরভাগেরই স্বাস্থ্য বীমা নেই। ফুড ডেলিভারি কর্মীরা ছুটি বা পেনশন পান না। অন্যদিকে, ৪০ শতাংশ লং-শিফট কর্মী এবং ৩০ শতাংশ শর্ট-শিফট কর্মী জানিয়েছেন, আগের চাকরিতে বা বিকল্প চাকরিতে তাঁরা ছুটি পেয়েছিলেন। ২৫ শতাংশ লং-শিফট কর্মী ও ১৭ শতাংশ শর্ট-শিফট কর্মী বলছেন, পূর্ববর্তী বা বিকল্প চাকরিতে তাঁদের পেনশন ছিল।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#job, #Income, #Delivery partner

আরো দেখুন