ছন্নছাড়া ফুটবল খেলেও উনিশ বছর পর ডুরান্ডের ফাইনালে ইস্টবেঙ্গল
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: ফাইনালে ইস্টবেঙ্গল! লাল-হলুদের স্বপ্নের দৌড় অব্যাহত। উনিশ বছরের প্রতীক্ষা আর দীর্ঘায়িত হল না। আজ ডুরান্ডের প্রথম সেমিফাইনালে ইস্টবেঙ্গল আর নর্থইস্ট ইউনাইটেড মুখোমুখি হয়েছিল। প্রথম থেকে আক্রমণ গড়ে তুলতে ব্যর্থ হয় লাল-হলুদ শিবির। তবে ম্যাচের শেষ কয়েকটি মিনিট হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চলে, নির্ধারিত সময়ের খেলা শেষ হয় ২-২ ফলাফলে। খেলা গড়ায় টাইব্রেকারে। পেনাল্টি শ্যুট আউটে জয় ছিনিয়ে নেয় ইস্টবেঙ্গল।
এদিনই প্রথম লাল-হলুদ জার্সিতে মাঠে নামলেন পারদো লুকাস, ইস্টবেঙ্গলের একাদশে মান্দারের প্রত্যাবর্তন হয়েছে। ম্যাচের শুরু থেকে দুই দলই বলের দখল রাখতে মরিয়া হয়ে ওঠে। ম্যাচের ২২ মিনিটের মাথায় গোলের মুখ খোলে নর্থইস্ট। জাবাকোর গোলে এগিয়ে গেল নর্থইস্ট। লেফট উইং থেকে ফাল্গুনীর বাড়ানো বলে লাল-হলুদ জালে বল জড়িয়ে দেন জাবাকো। এগিয়ে যেতেই খেলার নিয়ন্ত্রণ চলে যায় ফাল্গুনী, প্রতীবদের হাতে, বল দখলের লড়াইয়ে যুবভারতীতে ডুরান্ডের প্রথম সেমিফাইনালের প্রথম ত্রিশ মিনিটে এগিয়ে রয়েছে নর্থইস্টই। ম্যাচের ৩৫ মিনিটে আক্রমণে যায় কার্লেস কুয়াদ্রাতের ছেলেরা, কিন্তু নর্থইস্টের রক্ষণ আক্রমণকে প্রতিহত করে। ৩৯ মিনিটে ফের আক্রমণে যায় ইস্টবেঙ্গল, কিন্তু সিভেরিওর চেষ্টা ব্যর্থ হওয়ায় গোলের মুখ খুলতে পারেনি লাল-হলুদ ব্রিগেড। প্রথমার্ধে গোলের মুখ খুলতে ব্যর্থ হয় ইস্টবেঙ্গল।
দ্বিতীয়ার্ধে দুটি বদল করেন কুয়াদ্রাত। নিশুর বদলে সৌভিক এবং পারদোর পরিবর্তে বোরহা নামেন। কিন্তু ৫৭ মিনিটে দুরন্ত গোল করেন ফাল্গুনী, ২-০ এগিয়ে যায় নর্থইস্ট। বাঁ পায়ের চমৎকার শটে বল জড়িয়ে যায় গোলে। ৭৭ মিনিটে ব্যবধান কমায় লাল-হলুদ, ক্লেটন সিলভার ক্রস থেকে শট নেন নাওরেম, দীনেশ পায়ে লেগে বল চলে যায় নর্থইস্টের গোলে। খেলায় ফেরার চেষ্টায় মরিয়া ইস্টবেঙ্গল আক্রমণের ঝাঁজ বাড়াতে শুরু করে। প্রতিআক্রমণে আসে নর্থইস্ট, ৮৩ মিনিটে ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ পেয়ে হারায় তারা। নির্ধারিত সময়ের খেলা শেষ হয়, ২-১ ফলাফলে; ৮ মিনিট অতিরিক্ত সময় বরাদ্দ করেন রেফারি। ৯০+৬ মিনিটে দ্বিতীয়বার হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন জাবাকো। দশ জনের নর্থইস্টের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত সময়ের খেলায় গোল শোধ করে ইস্টবেঙ্গল। ৯০+৭ মিনিটে ক্লেটনের শটে নন্দ হেড ম্যাচের রঙ বদলে দেয়। খেলার ফলাফল হয় ২-২, খেলা গড়ায় টাইব্রেকারে। পেনাল্টি শ্যুট আউটে খেলার ফলাফল হয় ৩-৫। ফাইনালে চলে যায় ইস্টবেঙ্গল।