আজ রাখিপূর্ণিমার আকাশে উঠবে বিরাট নীল চাঁদ, জানেন কখন এই মাহেন্দ্রক্ষণ?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: আজ রাখিপূর্ণিমায় সবচেয়ে উজ্জ্বল জ্যোৎস্নার সাক্ষী থাকবে বিশ্ববাসী। রাতের আকাশে দেখা যাবে বিরল সুপার ব্লু মুন। প্রায় দশ থেকে কুড়ি বছর পর পর আসে সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। সুপারমুন দেখা যায় প্রতি দুই থেকে আড়াই বছর অন্তর। আজ বুধবার ভারতীয় সময় রাত ৮ নাগাদ বিরাট নীল চাঁদ মোহময়ী রূপের সাক্ষী থাকবে বিশ্ববাসী। পরবর্তী সুপার ব্লু মুন দেখা যাবে ২০৩৭ সালের জানুয়ারি এবং মার্চ মাসে।
পৃথিবীর চারপাশে পাক খেতে খেতে চাঁদ কখনও সে কাছে আসে আবার কখনও দূরে সরে যায়। যখন পৃথিবীর সঙ্গে চাঁদের দূরত্বটা সবচেয়ে কম হয় তখন তাকে বলে ‘অনুভূ’ (পেরিজি) অবস্থান। সে সময় যদি পূর্ণিমা হয়, তাহলে চাঁদ হয়ে যায় ‘সুপারমুন।’ সাধারণত পৃথিবী থেকে চাঁদের দূরত্ব থাকে ৩ লক্ষ ৮৪ হাজার কিলোমিটার। পেরিজিতে এই দূরত্ব কমে হয় ৩ লক্ষ ৫৬ হাজার কিলোমিটার আর এপোজিতে হয় ৪ লক্ষ ৫ হাজার কিলোমিটার। আজ, কলকাতায় বর্ষার আকাশ যদি ঠিক থাকে তাহলে কিন্তু খালি চোখে ব্লু মুন দেখা যাবে। এদিন বিকেল ৫টা ৪২ মিনিটে চন্দ্রোদয় হবে।
বিজ্ঞানীদের মতে, ১২ মাস মানে হল ৩৬৫ দিন। অর্থাৎ এক বছর। জ্যোতির্বিজ্ঞানের ভাষায় একে সৌর বছর বলে। সাধারণত একটি পূর্ণিমা থেকে অপর পূর্ণিমার ফারাক হয় গড়ে সাড়ে ২৯ দিন। সঠিক হিসেব বলতে গেলে ২৯.৫৩১ দিন বা ২৯ দিন ১২ ঘণ্টা ৪৪ মিনিট ৩৮ সেকেন্ড। এইভাবে হিসেব করলে ১২টি পূর্ণিমা হতে সময় লাগে ৩৫৪ দিন ৮ ঘণ্টা ৪৮ মিনিট ৩৪ সেকেন্ড।
জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের মতে, এক সৌর বছর থেকে এক চান্দ্রবছরের মধ্যে ১১ দিনের তফাৎ। এর জন্যই প্রতি ৩ বছর অন্তর এক মাসে দু’টি পূর্ণিমা দেখা যায়। এভাবে প্রতি ১৯ বছরে গড়ে ৭ বার নীল চাঁদের দেখা মিলতে পারে। নাসা জানিয়েছে, ১৯৪৪ সালে জানুয়ারি এবং মার্চ মাসে দু’টি করে পূর্ণিমা ছিল, তখন ব্লু মুনের দেখা মিলেছিল। ২০৩৯ সালে এমন ঘটনা ঘটলেও ঘটতে পারে।