নাগপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যক্রমে BJP-র রাম জন্মভূমি আন্দোলন! তুঙ্গে বিতর্ক
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: বহুদিন ধরেই বিজেপির বিরুদ্ধে শিক্ষায় গৈরিকীকরণের অভিযোগ আনছেন বিরোধীরা। নানান সময়ে পাঠ্যক্রম থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে রবীন্দ্রনাথ, মহাশ্বেতা দেবীর মতো সাহিত্যিকদের সৃষ্টি, বাদ গিয়েছে মোঘল ইতিহাস বদলে এসেছে পাখির ডানায় চেপে সভারকরের আন্দামানের সেলুলার জেল থেকে বেরোনোর কাহিনি। মোদী সরকার হোক বা ডবল ইঞ্জিন বিজেপি সরকার সবাই সিলেবাসের উপর কোনও না কোনও সময়ে আঘাত এনেছেন। এবার নয়া সংযোজন হল নাগপুর বিশ্ববিদ্যালয়। নাগপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকোত্তর ইতিহাসের পাঠ্যক্রমে বিজেপির রাম জন্মভূমি আন্দোলনের অন্তর্ভুক্তি হতে চলেছে। বদলে বাদ যাচ্ছে ভারতীয় কমিউনিস্ট পার্টি এবং ডিএমকের অংশগুলি। যার জেরে সৃষ্টি হয়েছে বিতর্ক।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে ইতহাসের স্নাতকস্তরের সিলেবাসে আরএসএসকে একটি অধ্যায় রাখা হয়েছিল, তখনও বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছিল। ইতিহাসে স্নাতকোত্তরের পাঠ্যসূচিতে ভারতীয় জনতা পার্টিকে অধ্যায় হিসেবে রাখা পদক্ষেপ করছে নাগপুর বিশ্ববিদ্যালয়। অন্যদিকে, সিলেবাস থেকে সিপিআই বাদ যাচ্ছে। জন সংঘ সম্পর্কিত অধ্যায় থাকছে। কংগ্রেসের জোটসঙ্গী ডিএমকে বাদ যাচ্ছে, তার জায়গায় পাঠ্যক্রমে জায়গা পাচ্ছে বিজেপির শরিক দল এআইএডিএমকে। এক সর্বভারতীয় সংবাদপত্র সূত্রে এমনই দাবি করা হয়েছে। বিখ্যাত সেই সংবাদপত্রের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ‘১৯৮০-২০০০, ভারতের গণ আন্দোলন’ শীর্ষক একটি নতুন অধ্যায় সিলেবাসে অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে। এই অধ্যায়তে রাম জন্মভূমি আন্দোলনের কথা তুলে ধরা হয়েছে।
নাগপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের বোর্ড অফ স্টাডিজের চেয়ারম্যান শ্যাম কোরেট্টির কথায়, সিপিআই আর জাতীয় দল নয়। বিজেপিকে সিলেবাসে আনা হয়েছে। জাতীয় দল হাওয়া সত্ত্বেও বিজেপির কথা পুরোনো সিলেবাসে ছিল না। ২০১০ সাল অবধি বিজেপির ইতিহাস অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এহেন সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা বিজয় ওয়াদেট্টিয়ার। তাঁর কথায়, নিজেদের ধর্মীয় ও জাতিগত বিভাজন এবং ঘৃণার আদৰ্শ বিজেপি দেশবাসীর উপর চাপিয়ে দিতে চাইছে। আরএসএস যা বিজেপি তৈরি করেছে; তারা কোনওদিন মহিলাদের সম্মান করেনি। তাদের (বিজেপি) নিয়ে আবার কী শেখার আছে?