স্বাধীনতা দিবসে সব নাগরিকের স্বাস্থ্য আইডি ঘোষণার পথে নরেন্দ্র মোদী
আগামী স্বাধীনতা দিবসে দেশের সব নাগরিকের জন্য ন্যাশনাল ডিজিটাল হেলথ মিশন ঘোষণা করতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এই ডিজিটাল হেলথ মিশনের অধীনে দেশের পরিপূর্ণ ডিজিটাল হেলথ ইকোসিস্টেম গড়ে তোলা হবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্র। এই প্রকল্পের অধীনে দেশের প্রত্যেক নাগরিককে ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য আইডি দেওয়া হবে।
এই মিশনের অধীনে সব ভারতীয়ের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত রেকর্ডের ডিজিটাইজেশন হবে এবং সমস্ত ডাক্তার ও স্বাস্থ্যকর্মীর নাম নথিভুক্ত করতে হবে। ন্যাশনাল ডিজিটাল হেলথ মিশনের এই প্রস্তাব ইতোমধ্যেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার অনুমোদন পেয়েছে। আগামী সপ্তাহের মধ্য়ে এটি চূড়ান্ত অনুমোদন পেয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। আগামী ১৫ অগস্ট স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে এই মিশনের কথা ঘোষণা করতে পারেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কেন্দ্রীয় সরকারের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক এমনই জানিয়েছেন।
দেশের স্বাস্থ্য় ব্যবস্থার এই ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে থাকবে মূল চারটি বৈশিষ্ট্য। এগুলি হল – হেলথ আইডি, ব্যক্তিগত হেলথ রেকর্ড, ডিজিটাল ডাক্তার এবং স্বাস্থ্য পরিষেবার নথিভুক্তকরণ। পরবর্তী কালে এর সঙ্গে ই-ফার্মেসি এবং টেলিমেডিসিন পরিষেবা যুক্ত হবে বলে জানানো হয়েছে। এই স্বাস্থ্য প্রকল্পের গাইডলাইন প্রস্তুত করার কাজ এখন চলছে।
তবে এখনও পর্যন্ত এই স্বাস্থ্য মিশনে অংশ নেওয়া বাধ্যতামূলক করা হবে না বলেই সিদ্ধান্ত হয়েছে। কোনও ব্যক্তি এই অ্যাপ ডাউনলোড করবেন কি করবেন না, তা তাঁর ব্যক্তিগত সিদ্ধান্তের ওপরেই ছাড়া হবে। একই ভাবে কোনও হাসপাতাল বা কোনও চিকিত্সক স্বাস্থ্য পরিষেবা সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য আপলোড করবেন কিনা, সেটা সেই হাসপাতাল বা চিকিত্সকের ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত হবে। তবে এই অ্যাপের উপযোগিতা এত বেশি থাকবে যে বেশিরভাগ মানুষই এই মিশনে অংশগ্রহণ করতে চাইবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
ন্যাশনাল হেলথ অথরিটির চিফ এগজিকিউটিভ ইন্দু ভূষণ জানিয়েছেন, ‘ন্যাশনাল ডিজিটাল হেলথ মিশন দেশের স্বাস্থ্য পরিষেবাকে আরও উন্নত ও স্বচ্ছ করবে বলে আশা করা হচ্ছে। পাশাপাশি রাষ্ট্রপুঞ্জ উন্নত স্বাস্থ্য পরিষেবার যে সূচক নির্ধারণ করে দিয়েছে, তা অর্জন করার লক্ষ্যেও ভারত অনেকটা এগিয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।’
আয়ুষ্মান ভারতের ইমপ্লিমেন্টিং এজেন্সি ন্যাশনাল হেলথ অথরিটি এই প্ল্যাটফর্মটি তৈরি করেছে। অ্যাপ এবং ওয়েবসাইট, উভয় মাধ্যমেই এটি পাওয়া যাবে। দেশের স্বাস্থ্য পরিষেবার ক্ষেত্রে এটি অত্যন্ত উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ হতে চলেছে বলে আশা করা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই এই প্রকল্পের জন্য ৪৭০ কোটি টাকা বাজেট বরাদ্দ করেছে কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রক। তবে এর জন্য আরও ৪০০ কোটি টাকা লাগতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।