চব্বিশে নয় তেইশের ডিসেম্বরেই ভোট? কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর মন্তব্যে সায় ECI-র?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: ইন্ডিয়া নাকি ভারত, আর ‘এক দেশ এক ভোট’, বিতর্কের মধ্যেই নয়া জল্পনা উস্কে দিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর। মোদীর অতিঘনিষ্ঠ বলেই তিনি পরিচিত। বুধবার এক সাক্ষাৎকারে লোকসভা ভোট প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে, তিনি ডিসেম্বর মাসের উল্লেখ করেন। এতেই নির্বাচন এগিয়ে আসার জল্পনায় ঘি পড়েছে। গত ক’দিন ধরেই জল্পনা চলছে হয়ত ভোট এগিয়ে আনা হতে পারে। ২০২৪ নয়, আগামী লোকসভা নির্বাচন হতে পারে চলতি বছরের শেষে; ডিসেম্বরে।
আগামী সপ্তাহে সংসদের বিশেষ অধিবেশন ডেকেছে মোদী সরকার। যদিও কোনও এজেন্ডা ঘোষণা করা হয়নি। অন্যদিকে, নানান ইস্যুতে সরকারের অতিসক্রিয়তা চোখে পড়ছে। ‘এক দেশ এক নির্বাচন’, দেশের নাম শুধু ‘ভারত’ করার মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে বিজেপি। বিরোধীদের অভিযোগ, হারের ভয়ে বিজেপি লোকসভা ভোট এগিয়ে আনার পরিকল্পনা করছে। এদিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, দু’টি জায়গা তাঁর চোখে পড়ছে। তাঁর দাবি অনুযায়ী, বিরোধীরা নাকি অত্যন্ত দুর্বল। লোকসভা ভোট ডিসেম্বরে এগিয়ে নিয়ে আসা হতে পারে বলে ভয় পাচ্ছেন বিরোধী নেতাদের কেউ কেউ। ভোটে তাঁদের ভয় কীসের? তাঁরা এখন থেকেই হয়ত নিজেদের পরাজয় দেখতে পাচ্ছেন। এখানেই প্রশ্ন উঠছে, তবে কৌশলে ভোটে এগিয়ে ডিসেম্বরে করার বার্তা দিলেন মন্ত্রী?
কেবল কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নন, এদিন নির্বাচন কমিশনের তরফেও জানানোন হয়েছে, যেকোনও সময় তারা নির্বাচন আয়োজন করতে প্রস্তুত। উল্লেখ্য, আইন অনুযায়ী, লোকসভার মেয়াদ শেষের ছ’মাস আগেই নির্বাচন করানো যায়। সেই আইনের সূত্র ধরেই নির্বাচন কমিশনের বক্তব্য, তারা নির্বাচনের প্রস্তুতি সেরে রেখেছেন। তবে কি সত্যিই ভোট এগোচ্ছে? মধ্যপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে ভোপালে বুধাবার সর্বদল বৈঠক করেন ভারতীয় নির্বাচন কমিশনের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার। ‘এক দেশ এক ভোট’ প্রসঙ্গে তিনি জানান, ‘সংবিধান অনুযায়ী এবং রিপ্রেজেন্টেটিভ অফ দ্য পিপল অ্যাক্ট অনুযায়ী কাজ করতে তারা প্রস্তুত।’