কেন ‘শোলে’ বলিউডের সবচেয়ে বড় ব্লকবাস্টার? জানলে চমকে যাবেন
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: আজকাল, আপনি কোনও মাল্টিপ্লেক্সে সিনেমা দেখতে গেলে হয়। একটি টিকিটে কম করে ২০০-২৫০ টাকা খরচ করতে হবে। কিন্তু জানেন কি ৪৮ বছর আগে মুক্তি পাওয়া অমিতাভ বচ্চন ও ধর্মেন্দ্রর ছবি ‘শোলে’-এর টিকিট বিক্রি হয়েছিল মাত্র ২ টাকায়। তা সত্ত্বেও এই ছবিটি সেই সময় কোটি টাকা আয় করে বক্স অফিস কাঁপিয়েছিল। এমনকি ছবিটিকে বলিউডের সবচেয়ে বড় ব্লকবাস্টার বলা হয়।
এই ছবিটির কালেকশন কত? এখন মুক্তি পেলে কত আয় হতো? জেনে নিন
বর্তমানে যে কোনও সিনেমাকে ১০০ কোটি টাকার ক্লাবে পরিমাপ করা হয়। এর মানে হল, কোনও চলচ্চিত্র যদি এই ক্লাবে প্রবেশ করে, সেটাকে বড় অর্জন হিসেবে ধরা হয়। তবে এর আগে, ছবিটি কতক্ষণ প্রেক্ষাগৃহে থাকত তা নির্ধারণ করা হত ছবিটি চলে কি না। পাশাপাশি বাণিজ্য বিশেষজ্ঞরাও বিক্রি হওয়া টিকিটের ভিত্তিতে ছবিটির সাফল্যের বিচার করতেন। এই সমস্ত মানদণ্ড মেনে ১৯৭৫ সালের ‘শোলে’ ছবিটি ভারতের একটি বড় ব্লকবাস্টার হিসাবে বিবেচিত হয়েছিল।
ভারতীয় সিনেমার ইতিহাসের অত্যন্ত আইকনিক ছবি ‘শোলে’। বক্স অফিস ইন্ডিয়া ডটকম-এর মতে, সেই সময়ে ৭ কোটি টিকিট বিক্রি হয়েছিল। আবার কোনও কোনও প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২৫ কোটি টিকিট বিক্রি হয়েছে। ‘শোলে: দ্য মেকিং অফ ক্লাসিক’ অনুসারে, এই ছবিটির বক্স অফিস কালেকশন ছিল ৩৫ কোটি টাকা। কিছু প্রতিবেদনে এটাও বলা হয়েছে যে ‘শোলে’ ছবিটি মুক্তির ৫ বছর পরেও প্রেক্ষাগৃহে রয়ে গেছে। আশ্চর্যের ব্যাপার হল, ‘শোলে’ ছবিটি যখন মুক্তি পায় তখন এর টিকিটের দাম ছিল মাত্র ২ থেকে ২.৫০ টাকা এবং ছবির বাজেট ছিল ৩ কোটি টাকা।
এক বেসরকারি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী, ‘শোলে’ যদি এই সময় রিলিজ করতো তাহলে ছবির আয় হতো প্রায় ৯৮১ কোটি টাকা। অর্থাৎ প্রায় ১০০০ কোটির কাছাকাছি। এর থেকেই বোঝা যায়, কেন ‘শোলে’কে বলিউড ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম ব্লকবাস্টার সিনেমা বলা হয়।