দেশ বিভাগে ফিরে যান

৩৭০ ধারা এবং ‘পূর্ণ রাজ্যে’র মর্যাদা ফেরানোর দাবী কাশ্মীরি পণ্ডিতদেরই 

August 4, 2020 | 2 min read

এ পুরো উল্টো পুরাণ। যে কাশ্মীরি পণ্ডিতরা এতদিন উপত্যকার বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহারের দাবীতে সরব হত, এবার তারাই এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা শুরু করল। আজ ৫ই আগস্ট কেন্দ্রের মহাবিতর্কিত ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের বর্ষপূর্তি। তার আগেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং সরকারের কাছে কাশ্মীরি পণ্ডিতদের সংগঠন ‘Reconciliation, Relief and Rehabilitation’-এর আবেদন, উপত্যকার বিশেষ মর্যাদা এবং সংবিধানের ৩৭০ পুনর্বহাল করে আবার সবকিছু আগের অবস্থায় ফিরিয়ে দেওয়া হোক।

গত বছর ৫ই আগস্ট সরকার সংবিধানের ৩৭০ ধারা প্রত‌্যাহার করে কাশ্মীরের ‘বিশেষ মর্যাদা’ খর্ব করে। ওইদিনই সংসদে জম্মু ও কাশ্মীর পুনর্গঠন বিল পাস হয়। যাতে রাজ‌্য ভেঙে দু’টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল গঠনের ঘোষণা হয়। বর্তমানে সেই অনুযায়ী জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখ, দু’টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হয়েছে। কিন্তু কেন্দ্রের সেই সিদ্ধান্ত সংবিধান বিরোধী বলে মনে করছে কাশ্মীরি পণ্ডিতদের সংগঠনটি। 

উদ্বাস্তু কাশ্মীরি পণ্ডিতদের ওই সংগঠনটির চেয়ারম্যান সতীশ মহলাদার বলেন, ”আমরা যত দ্রুত সম্ভব কাশ্মীরের পূর্ণরাজ্যের মর্যাদা এবং সংবিধানের ৩৭০ ধারা পুনর্বহাল চায়। ভারতের সংবিধান প্রত্যেক ব্যক্তি, প্রত্যেক ধর্ম, প্রত্যেক সম্প্রদায় এবং প্রত্যেক সামাজিক সংগঠনকে সমানাধিকার দেয়। এর আগে কোনওদিন কোনও প্রদেশের পূর্ণরাজ্যের মর্যাদা কেড়ে নেওয়া হয়নি। এটা কোনও গণতন্ত্রে হয় না। সেনা নামিয়ে একটি রাজনৈতিক সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়। কোনও সরকার নিজের লোকেদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে যেতে পারে না।”

উল্লেখ্য, কাশ্মীরি পণ্ডিতদের সংগঠনটি শুরু থেকেই কেন্দ্রের একাধিক সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে আসছে। গতবছর সংগঠনটির একটি প্রতিনিধি দল কাশ্মীরে গিয়ে স্থানীয় হুরিয়ত এবং প্রথম সারির রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গেও বৈঠক করে। এখন তাঁদের দাবী, কাশ্মীরি পণ্ডিতদের পুনর্বাসনের পাশাপাশি উপত্যকার পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদা এবং ৩৭০ ধারার অধীনে বিশেষ মর্যাদাও ফিরিয়ে দিতে হবে। 

সংগঠনটির চেয়ারম্যান সতীশ মহলাদার বলছেন, দেশের অন্য অনেক রাজ্যেই বিশেষ মর্যাদা আছে। সুতরাং কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদায় সরকারের আপত্তি থাকার কথা নয়।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#kashmiri pandits, #Article 370

আরো দেখুন