চূড়ান্ত ছাড়পত্রের অপেক্ষায় বাংলার নিজস্ব ‘বাসমতী’ চাল
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: ‘বাসমতী’ চাল। বাসমতীর অর্থ হল সুগন্ধী। সুন্দর গন্ধ যুক্ত লম্বা ও সরু এই চাল। সেই স্বাদ ও গন্ধে এর জুড়ি নেই। বিরিয়ানি বা ফ্রায়েড রাইস বাসমতি চালের বিকল্প নেই। কিন্তু এবার এর পরিবর্তন আসছে! বাসমতীর বাজারে থাবা বসাতে বাজারে আসতে চলেছে বাংলার নিজস্ব উদ্ভাবন ‘চুঁচুড়ামতী’।
ভারতে পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ, হিমাচলপ্রদেশ, জম্মু-কাশ্মীরের মতো কয়েকটি রাজ্যে বাসমতী উৎপাদিত হয়। পাকিস্তানেও এই ধান হয়। বিভিন্ন ধরনের বাসমতী ধানের গুণমান অনুযায়ী দামের তফাৎ রয়েছে। কলকাতায় ৯০ টাকা থেকে ২৫০ টাকা কেজি বাসমতী চাল পাওয়া যায়। তবে ওই ধান এ রাজ্যে চাষ করলে সেই গন্ধও যেমন থাকে না, তেমনি ফলনও বেশ কম হয়। তাই কৃষকরা এই ধান চাষে তেমন উৎসাহ দেখান না। সেই কারণে বাসমতীর মতো রাজ্যের নিজস্ব একটি জাত বা ধরন উদ্ভাবনের চেষ্টা দীর্ঘদিন ধরে চলছিল।
রাজ্য ও জাতীয় স্তরে একাধিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ‘স্টেট ভ্যারাইটি রিলিজ কমিটি’-তে যাওয়ার প্রহর গুণছে চুঁচুড়া ধান্য গবেষণা কেন্দ্রে উদ্ভাবিত নতুন ধান। এর সুগন্ধ হিমালয় সংলগ্ন রাজ্যগুলিতে উৎপাদিত বাঁশমতীর তুলনায় কিছুটা কম হলেও স্বাদ এবং ফলন অনেকটা বেশি।
২০০৮ সাল থেকে চুঁচুড়া ধান্য গবেষণা কেন্দ্র এই উদ্দেশ্যে নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু করে। ইতিমধ্যে স্টেশন ট্রায়াল, মাল্টি লোকেশন ট্রায়াল, ফার্ম ট্রায়ালের ধাপ পেরিয়ে এসেছে চুঁচুড়ামতী। সর্বভারতীয় স্তরের পরীক্ষায় (এআইসিআরআইপি) সসম্মানে উত্তীর্ণ হয়েছে এই ধান। আর কিছু দিনের মধ্যে রাজ্যের ভ্যারাইটি রিলিজ কমিটির কাছে ছাড়পত্রের জন্য তা পাঠানো হবে। প্রাথমিকভাবে নাম রাখা হয়েছে, চুঁচুড়ামতী-১। বর্ষীয়ান এক কৃষিবিজ্ঞানী বলেন, খরিফ ও বোরো মরশুমে রাজ্যের যে কোনও প্রান্তে এই ধান চাষ করা যাবে।