বাংলায় পোর্টের জমি বেচে ভাঁড়ার ভর্তি করতে চাইছে মোদী সরকার?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: বেসরকারি উদ্যোগে রিসর্ট ও বিনোদন কেন্দ্র নির্মাণের জন্য গঙ্গার ধারের জমি বিক্রির পথে এগোচ্ছে শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি পোর্ট কর্তৃপক্ষ। দক্ষিণ ২৪ পরগনার মায়াপুর, নূরপুর ও বজবজ মিলিয়ে মোট ৩০ একর জমি দীর্ঘকালীন লিজে দেওয়ার কথা ভাবছে পোর্ট কর্তৃপক্ষ। ইতিমধ্যেই এ মর্মে বেসরকারি উদ্যোগীদের থেকে এক্সপ্রেশন অব ইন্টারেস্ট চেয়ে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে পোর্ট।
২০.৪৯ একর জমি রয়েছে মায়াপুরে, তিনটি জায়গার মধ্যে যা সর্বাধিক। তারাতলা মোড় থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে, বজবজ ১ নম্বর ব্লকের মধ্যে অবস্থিত জমিটি বিলাসবহুল রিসর্ট নির্মাণের জন্য চিহ্নিত করা হয়েছে। এসএমপি’র চেয়ারম্যান রথেন্দ্র রমণ জানিয়েছেন, সেখানে লাক্সারি রিসর্ট তৈরি হবে। তারাতলা মোড় থেকে ৪৮ কিলোমিটার দূরে ডায়মন্ডহারবার ২ নম্বর ব্লকে অবস্থিত নূরপুরের ৩.১১ একর জমিতে হোটেল গড়তে চাইছে মোদী সরকার। তারাতলা থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরে বজবজে পাঁচ একর জমিতে হোটেলের পাশাপাশি সিনেপ্লেকস, রিটেইল শপস, রেস্টুরেন্ট-ক্যাফে, ব্যাঙ্কোয়েট প্রভৃতি তৈরি করতে চাইছে এসএমপি।
কলকাতা বন্দরের আওতায় মোট সাড়ে ৪ হাজার একর জমি রয়েছে। হলদিয়া বন্দর এলাকায় জমি রয়েছে প্রায় ৬ হাজার একর। কলকাতা ও হলদিয়া বন্দরকে কেন্দ্র করে এসএমপি কর্তৃপক্ষের কাছে থাকা এই বিপুল পরিমাণ জমিকেই বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহার করে আয় বৃদ্ধির পরিকল্পনা করেছে মোদী সরকার। বন্দরগুলির জন্য জমি নীতি বানাচ্ছে জাহাজ মন্ত্রক। বেশ কিছু বেসরকারি সংস্থা জমি লিজ নিয়ে গুদাম গড়ে ব্যবসা-বাণিজ্য করছে। তবে দায়মুক্ত জমি চিহ্নিত করে সেখানে বেসরকারি উদ্যোগে প্রকল্প গড়ার জন্য লিজ দিতে চাইছে এসএমপি। ইতিমধ্যেই কলকাতার আর্মেনিয়ান ঘাট সংলগ্ন চার একর জমিতে পার্কিং প্লেস-সহ বিভিন্ন বাণিজ্যিক প্রকল্প গড়ার জন্য এক্সপ্রেশন অব ইন্টারেস্ট চাওয়া হয়েছে। খিদিরপুরে ৬২ একর জমিতে লজিস্টিক হাব গড়ার জন্যও ইওআই ডেকেছে এসএমপি।