কলকাতা বিভাগে ফিরে যান

রেল হকারদের আইনি স্বীকৃতির দাবিতে সমাবেশ ‘জাতীয় বাংলা সম্মেলন’-এর

September 15, 2023 | 2 min read

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: দীর্ঘদিন ধরেই রেলওয়ে হকারদের স্বার্থ রক্ষায় আন্দোলন করে চলেছে জাতীয় বাংলা সম্মেলনের হকারদের শাখা সংগঠন, বঙ্গীয় হকার সম্মেলন। মোদী সরকার রেল বেসরকারিকরণের নামে হকারদের উপর নানান অত্যাচার চালাচ্ছে বলে অভিযোগ। সাফ কথায় হকার উচ্ছেদে নেমেছে মোদী সরকার। এর বিরুদ্ধেরই রুখে দাঁড়িয়েছে জাতীয় বাংলা সম্মেলন। প্রসঙ্গত, বিগত কয়েক বছর ধরে যে’সব গণসংগঠন বাংলা ও বাঙালির স্বার্থ রক্ষায় লড়ছে, জাতীয় বাংলা সম্মেলন তাদের মধ্যে অন্যতম।

রেল হকারদের আইনি স্বীকৃতির দাবিতে এবং অমৃত ভারত স্টেশন প্রকল্পে যে হকার, দোকান, বস্তি, বাজার উচ্ছেদ অভিযান চলছে তার প্রতিবাদে ১২ ই সেপ্টেম্বর ধর্মতলায় বৃষ্টির মধ্যে বড় সমাবেশ করে জাতীয় বাংলা সম্মেলন।

এই সংগঠনের অভিযোগ, রেলের বস্তি বাজার উচ্ছেদের অভিযান নতুন কোনও ঘটনা নয়, বিগত ২ বছর ধরে এই অভিযোগ উঠছে। সঙ্গে রয়েছে আরপিএফের অত্যাচার, তোলাবাজি। বর্তমানে এই তোলাবাজির বিরুদ্ধে সরব হওয়ায় আরপিএফ এবং রেল উচ্ছেদের পথ বেছে নিয়েছে। উচ্ছেদের শিকার হচ্ছেন সাধারণ বস্তিবাসি এবং হকাররা। হেনস্তার শিকার হচ্ছেন তারা।

জাতীয় বাংলা সম্মেলনের বক্তব্য, গরীব মানুষের পেটে লাথি মেরে এই ‘উন্নয়ন’ মানুষ আর মানবে না। প্রতিরোধ গড়ে উঠছে বাংলা থেকেই। বাংলা এই বিষয়ে পথিকৃৎ হতে চলেছে। তাদের আরও বক্তব্য, ২০১৪ সালে হকার আইন পাস হয়েছে সংসদে। হকারি কোনও বেআইনী কাজ নয়। কোনও পুনর্বাসন ছাড়া হকার, বাজার উচ্ছেদ করা যাবে না, এমন কি সেনা বাহিনীর জমিতে হলেও উচ্ছেদ করা যাবে না আইনে বলা আছে, অথচ রেলে হকারি করলে ১৬৫০ টাকা ফাইন করা হচ্ছে! যেখানে রেলে পকেটমার ধরা পড়লে, ফাইন করা হয় ৩০০ টাকা!

জাতীয় বাংলা সম্মেলনের দাবি, এই অবস্থার পরিবর্তন একমাত্র সম্ভব, রেল হকারদের আইনী স্বীকৃতির মধ্যে দিয়ে। সেই লক্ষ্যে আন্দোলন করছে তারা। এই দাবিতে সম্প্রতি রাণী রাসমণি রোডে তারা সমাবেশ করে। ওই সমাবেশে ভিড় ছিল চোখে পরার মতো।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Kolkata, #Protest, #Jatiyo bangla sommelon, #rail hawkers

আরো দেখুন