কর্নাটকে দেশদ্রোহিতার অভিযোগে হেনস্থার শিকার খুদেরাও

February 6, 2020 | 2 min read

এবার দেশদ্রোহিতার অভিযোগে পুলিশি হেনস্থার শিকার খুদেরাও! বিজেপি শাসিত কর্নাটকের বিদরের একটি স্কুলে সিএএ-বিরোধী নাটক মঞ্চস্থ করায় চার-পাঁচ দিন ধরে চরম পুলিশি হেনস্থার শিকার সেখানকার খুদে পড়ুয়ারা। স্কুল কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, গত কালও বেলা ১২টা থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত নয় থেকে বারো বছর বয়সি প্রায় ৬০ জন খুদে পড়ুয়াকে একটানা জিজ্ঞাসাবাদ করেন ডিএসপি-সহ তিন পুলিশকর্মী।

সূত্রের খবর, স্কুলের চতুর্থ, পঞ্চম এবং ষষ্ঠ শ্রেণির পড়ুয়াদের অভিনীত একটি নাটক গত ২৬ জানুয়ারি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার পরেই বিদর নিউটাউন থানায় অভিযোগ দায়ের করেন স্থানীয় এবিভিপি কর্মী নীলেশ রক্ষালা। তাঁর অভিযোগ, পড়ুয়াদের ‘শিখিয়ে-পড়িয়ে’ নাটকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে অবমাননা করার পাশাপাশি এনআরসি-সিএএ নিয়ে অপপ্রচার করা হয়েছে। তার পরেই কোমর বেঁধে নামে ইয়েদুরাপ্পার পুলিশ।

স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবি, পড়ুয়াদের লাগাতার জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে চাইছে, প্রধানমন্ত্রীকে অবমাননা বা আইন নিয়ে অপপ্রচারের এ সব সংলাপ স্কুলের কে বা কারা তাদের মুখস্থ করিয়েছিল? বছর নয়ের এক পড়ুয়া পুলিশকে জানিয়েছে, নাটকের সংলাপ তাকে শিখিয়েছেন মা। তারপর প্রধান শিক্ষিকার সঙ্গে গ্রেফতার করা হয়েছে পড়ুয়ার মাকেও। ধৃত অভিভাবিকা নাজবুন্নিসার পুলিশি হেফাজত চেয়ে ৩১ জানুয়ারি কোর্টে আর্জিও জানিয়েছিল পুলিশ।

কাল জেলবন্দি নাজবুন্নিসার সঙ্গে দেখা করেন এমআইএম নেতা আসাদুদ্দিন ওয়াইসি। তিনি জানান, সন্ত্রস্ত ওই মহিলা এখন মেয়ের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বিগ্ন। কারণ, বিজেপি জমানায় তাদের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুললেই বিরোধীদের হয় ভয় দেখিয়ে, নয় খুন করে চুপ করানোর কৌশল নেওয়া হয়। এবার তাদের নিশানায় এই খুদেরাও।

ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করা হয় ওই স্কুলের নামে। স্কুল কর্তৃপক্ষের কয়েক জন এবং কিছু পড়ুয়ার অভিভাবককে জিজ্ঞাসাবাদের পরে চার দিনের মাথায় গ্রেফতার করা হয় স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা ফরিদা বেগমকে।

#police, #harassed, #Anti-CAA Protests, #school students