বিজেপি’র ‘হিন্দি-হিন্দু-হিন্দুস্তান’ এজেন্ডাকে দ্রুত বাস্তবায়িত করতে চাইছেন অমিত শাহরা?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: ভারতের জনসংখ্যার প্রায় ৪৩ শতাংশ হিন্দি বা তার বিভিন্ন ডায়ালেক্টে কথা বলেন, আর এই ভাষাটিকে সারা দেশের প্রধান সরকারি ভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠার তাগিদ চলছে সেই স্বাধীনতার পর থেকেই। ‘হিন্দি, হিন্দু, হিন্দুস্তান’ যে বিজেপির ঘোষিত রাজনৈতিক এজেন্ডা, তাদের আমলে সেই উদ্যোগ আরও গতি পেয়েছে সহজবোধ্য কারণেই।
হিন্দিভাষাও যাতে ভারতের বিশেষ চালিকাশক্তি হয়, সেই বাসনা বারবার প্রকাশ করেছে বিজেপি ও মোদী সরকার। কারণ হিসেবে বলা হয়, হিন্দিই একমাত্র ভারতের বিভিন্ন ভাষাভাষীর মানুষের মধ্যে সংযোগ স্থাপনের সূত্র। বৃহস্পতিবার হিন্দি দিবসে সেই বিষয়টিই সম্ভবত আবার বুঝিয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহরা।
অমিত শাহ জানিয়েছেন, হিন্দি ভারতের ভাষার বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্য আনতে সমর্থ। তিনি জানিয়েছেন, হিন্দি কারোর সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নামে না, কোনও ভারতীয় ভাষার সঙ্গে প্রতিযোগিতাও করবে না, একটি শক্তিশালী দেশ তখনই গড়ে উঠবে যখন তার ভাষা শক্তিশালী হবে। ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, ‘দেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের কঠিন সময়ে গোটা দেশকে একজোট করার ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিল হিন্দি।’ তাঁর বক্তব্য, প্রাদেশিক ভাষাগুলিকে আরও শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে হিন্দির গুরুত্ব অপরিসীম।
অমিত শাহের এই বক্তব্য ঘিরেও নতুন করে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিনের পুত্র উদয়নিধি স্ট্যালিন শাহের এই বক্তব্যের বিরোধিতা করেছেন। নিজের এক্স হ্যান্ডেলে উদয়নিধি লেখে, ‘গোটা দেশের মাত্র চার পাঁচটি রাজ্যে হিন্দি প্রচলিত। অমিত শাহের এই বক্তব্য আসলে নতুন করে আঞ্চলিক ভাষার উপর হিন্দির দাদাগিরি চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা।’