বারুইপুর বাজারে অগ্নিকাণ্ডের পিছনে প্রোমোটার চক্র, অভিযোগ তুলতেই মার খেলেন সুজন
বারুইপুরের পৌর বাজারে অগ্নিকাণ্ডের নেপথ্যে প্রোমোটার চক্রের অভিযোগ তুলে রীতিমত মার খেলেন সিপিএম বিধায়ক সুজন চক্রবর্তী (Sujan Chakroborty)। মঙ্গলবার আগুন নিভে যাওয়ার পর তিনি বেলার দিকে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। সংবাদমাধ্যমে অভিযোগ করেন, এর নেপথ্যে প্রোমোটারদের হাত আছে। একথা বলার সঙ্গে সঙ্গেই কার্যত মারমুখী হয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েন সেখানকার ব্যবসায়ী এবং স্থানীয় বাসিন্দারা। পরে পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান গৌতম দাসের সঙ্গেও বচসা হয় তাঁর। কোনওক্রমে সেখান থেকে পালিয়ে বাঁচেন সুজন চক্রবর্তী। তাঁর উপর এমন হামলার খবর পৌঁছেছে নবান্নেও। বিষয়টি খতিয়ে দেখছে প্রশাসনের শীর্ষ মহল। বারুইপুরের বিধায়ক তথা রাজ্য বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ফোনে এ নিয়ে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী।
সোমবার মাঝরাতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের মুখে পড়ে দক্ষিণ ২৪ পরগনার অন্যতম বৃহত্তম বাজার। বারুইপুর কাছারি বাজারে শতাধিক দোকান ভস্মীভূত হয়ে যায়। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কোটি টাকারও বেশি। ১২টি ইঞ্জিনের দীর্ঘক্ষণের চেষ্টায় সকালের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। প্রাথমিকভাবে শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লেগেছে বলে অনুমান দমকল কর্মীদের। তবে ব্যবসায়ীদের একাংশ জানান, যখন আগুন লেগেছে, তখন রাত প্রায় ২টো। সেসময় লোডশেডিং ছিল এলাকায়। তাই সেসময় শর্ট সার্কিট হওয়ার কোনও ব্যাপার নেই। এর পিছনে প্রোমোটার চক্রের হাত রয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছিলেন তাঁরা।
এরপর মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ সেখানে উপস্থিত হন সিপিএম নেতা তথা বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী। পরিস্থিতি সম্পর্কে খোঁজখবর নেওয়ার পর তিনি সংবাদমাধ্যমে সরাসরি প্রোমোটার চক্রকে দায়ী করেন। এরপরই তাঁর উপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে জনতা, তাঁদের মধ্যে একদল ব্যবসায়ীও ছিলেন। তাঁরা মারমুখী হয়ে সুজন চক্রবর্তীর উপর হামলা করেন। স্থানীয় তৃণমূল নেতা গৌতম দাসের সঙ্গেও এ নিয়ে তাঁর বচসা হয়। তবে হামলা থেকে কোনওক্রমে বেঁচে ফেরেন সিপিএম নেতা।
সিপিএমের অভিযোগ, তৃণমূলের মদতেই তাঁর উপর হামলা চলেছে। বাম পরিষদীয় দলনেতার উপর হামলার খবর পৌঁছেছে নবান্নেও। সেখান থেকে বারুইপুরের বিধায়ক তথা বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যয়কে ফোন করেন মুখ্যমন্ত্রী নিজে। জানতে চান সামগ্রিক পরিস্থিতি। সুজন চক্রবর্তীর নিরাপত্তা যাতে বিঘ্নিত না হয়, তার দেখভালের দায়িত্ব দেন বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে।