মিলল স্বীকৃতি, UNESCO-এর হেরিটেজের তালিকায় এবার রবিঠাকুরের শান্তিনিকেতন

UNESCO-এর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের তালিকায় এবার রবিঠাকুরের শান্তিনিকে

September 17, 2023 | < 1 min read
Published by: Drishti Bhongi

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: অবশেষে মিলল  স্বীকৃতি। UNESCO-এর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের তালিকায় এবার রবিঠাকুরের শান্তিনিকেতন। সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের নিরিখে এই স্বীকৃতি বলে জানিয়েছে ইউনেস্কো।

রবিবার UNESCO-র তরফে এই সুখবরটি এক্স-এ জানানো হয়েছে।  সেখানে লেখা হয়, ‘UNESCO-র বিশ্ব ঐতিহ্য ক্ষেত্রের তালিকায় নয়া সংযোজন: শান্তিনিকেতন। ভারতকে অভিনন্দন’।

শান্তিনিকেতন ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের তালিকায় স্থান পাওয়ায় খুশি বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি এক্সে লেখেন, ‘‘আনন্দিত এবং গর্বিত যে অবশেষে গুরুদেবের ভূমি শান্তিনিকেতনকে ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের তকমা দিয়েছে। এটা বিশ্ববাংলার গর্ব। প্রজন্মের পর প্রজন্ম গোটা বাংলার মানুষ, কবি শান্তিনিকেতনের সাহচর্য পেয়েছে। রাজ্যের তরফে আমরা গত ১২ বছর আগেই স্বীকৃতি দিয়েছি শান্তিনিকেতনকে। যাঁরা বাংলা, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে ভালোবাসেন তাঁদের কুর্নিশ। জয় বাংলা। গুরুদেবকে প্রণাম।”

প্রসঙ্গত, সৌদি আরবের রিয়াধে UNESCO-র ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ কমিটির বৈঠক চলছে। ১০ সেপ্টেম্বর থেকে আরম্ভ হওয়া বৈঠকটি চলবে ২৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। শনিবার সেখানেই শান্তিনিকেতনকে বিশ্ব ঐতিহ্য ক্ষেত্রের তালিকার অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। রবিবার ট্যুইটারে (অধুনা X) এই ঘোষণা করে ইউনেস্কো। 

১৯০১ সালে রবি ঠাকুর শান্তিনিকেতন আবাসিক স্কুলের প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯২১ সালে বিশ্বভারতীর সূচনা এবং ১৯৫১ সালে বিশ্বভারতীর স্বীকৃতিলাভ। খোলা আকাশের নীচে ক্ষাপ্রাপ্তিতে বিশ্বাসী ছিলেন রবীন্দ্রনাথ। আজও সেই প্রথা চলে আসছে শান্তিনিকেতনে।  তাঁর সারা জীবনের নানা স্মৃতি ছড়িয়ে আছে গোটা  শান্তিনিকেতনজুড়ে।  শান্তিনিকেতনকে রক্ষা করতে দেশবাসীর আদর ও যত্ন প্রয়োজন বলে মহাত্মা গাঁধীকে পাঠানো চিঠিতে লিখেছিলেন বিশ্বকবি।। বিশ্বভারতীর প্রথম উপাচার্য ছিলেন রীবন্দ্রনাথের পুত্র রথীন্দ্রনাথ ঠাকুর। অমর্ত্য সেনের দাদু ক্ষীতিমোহন সেন দ্বিতীয় উপাচার্য হন।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen