হঠাৎ কেন বন্ধ হয়ে গেল যাদবপুর কফি হাউস?
জানা যাচ্ছে, গ্রাহকের সঙ্গে বচসা ও তার পরবর্তী অবস্থার জেরে যাদবপুর কফি হাউস বন্ধ করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: হঠাৎ করেই বন্ধ করে দেওয়া হল যাদবপুর কফি হাউস। গেটের বাইরে বন্ধের নোটিশ আটকে দেওয়া হয়েছে। গত শুক্রবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য কফি হাউস বন্ধ থাকবে বলেও জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। কিন্তু এহেন সিদ্ধান্তের কারণ কী?
জানা যাচ্ছে, গ্রাহকের সঙ্গে বচসা ও তার পরবর্তী অবস্থার জেরে যাদবপুর কফি হাউস বন্ধ করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

প্রসঙ্গত, ইন্ডিয়ান কফি ওয়াকার্স কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেড ১৯৬৪ সালে যাদবপুরে কফি হাউস তৈরি করেছিল। বালিগঞ্জ, ঢাকুরিয়া, গড়িয়া, যাদবপুর, বাঘাযতীনসহ দক্ষিণ কলকাতার মানুষ ভিড় জমান এই হাউসে। সম্প্রতি কয়েকটি ঘটনার জেরে পদক্ষেপ করেছে কর্তৃপক্ষ। তাদের অভিযোগ, যাদবপুর কফি হাউসে টেবিল আটকে রেখে কয়েকজন অফিসের কাজকর্ম সারেন। টেবিলে ল্যাপটপ রেখে কয়েক ঘণ্টা ধরে বসে থাকেন, কাজ করে। হেলমেট দিয়ে টেবিল-চেয়ার দখল করে রাখেন। ঘণ্টা পর ঘন্টা এইভাবে টেবিল-চেয়ার আটকে রাখায়, অন্যরা বসে কফি খাওয়ার সুযোগ পান না, এমনই অভিযোগ।
শুক্রবার এমনই ঘটনা ঘটেছিল। টেবিল আটকে রাখায় প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন কফি হাউসের কর্মীরা। যে গ্রাহকের বিরুদ্ধে টেবিল আটকে রাখা অভিযোগ ছিল, তাঁর সঙ্গে বচসাও হয়। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়। একটি নোটিশ ছিঁড়ে ফেলেন ওই গ্রাহক। যাদবপুর থানায় অভিযোগ জানানো হয় ইন্ডিয়ান কফি ওয়াকার্স কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেড তরফে। তারপর বিজ্ঞপ্তি জারি করে বলা হয়, এক গ্রাহকের আচরণে বিশৃঙ্খলার তৈরি হয়, যার জেরে কফি হাউসের পরিবেশ নষ্ট হয়েছে। ব্যবসারও ক্ষতি হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে কফি হাউসের যাদবপুর শাখা বন্ধ করে দেওয়া হল। ইন্ডিয়ান কফি ওয়াকার্স কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেডের সম্পাদক সারফরজা আহমেদের কথায়, দু-এক জনের জন্য অন্যান্য গ্রাহকদের অসুবিধায় ফেলতে চান না তাঁরা। তাই বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অভিযুক্ত গ্রাহককে লিখিত বক্তব্য দিয়ে ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানাচ্ছেন তাঁরা।