জিরার ঝাঁঝে কাবু আমজনতা! কেজি প্রতি দাম ৮০০ ছুঁয়েছে
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: সবজির পর এবার মশলার দাম হু হু করে বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। কারণ, গত বছরের তুলনায় এ বছর কিছু মশলার দাম দুই অঙ্কে বাড়ছে। এরমধ্যে জিরার দাম বেড়েছে সবচেয়ে বেশি পরিমাণে।
বাজারে গোটা জিরে বা জিরের গুঁড়ো—দু’য়ের দামই ঊর্ধ্বমুখী। বাঙালির হেঁসেলে জিরে একটি অত্যাবশ্যকীয় মশলা বললে অত্যুক্তি হয় না। বেশিরভাগ রান্নায় জিরে না দিলে স্বাদ, গন্ধ দুই-ই হারাবে সেই পদ। এহেন দরকারি মশলার (গোটা জিরে ও গুঁড়ো) কেজি প্রতি দাম পাইকারি বাজারেই ৭০০ টাকা ছাড়িয়ে গিয়েছে। ফলে খুচরো বাজারে বা পাড়ার মুদি দোকান থেকে তা ৮০০-৯০০ টাকা কেজি দরে কিনতে হচ্ছে। অথচ, মাস ছয়েক আগেও কেজি প্রতি জিরের দাম ছিল মাত্র ২৫০ টাকা।
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনা ও মশলার উৎপাদন কমে যাওয়ায় মশলার দাম বেড়ে গিয়েছে। বিশেষ করে জিরার দামে এই মুহূর্তে কোনও স্বস্তির সম্ভাবনাও নেই। কৃষকেরা জানাচ্ছেন, জিরা এমন একটি ফসল যা বছরে একবার মাত্র উৎপাদিত হয়। এরমধ্যে আবার প্রায় ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ জিরার উৎপাদন নষ্ট হয়েছে।
একেই তো আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনা তার উপর কালোবাজারি। ফেডারেশন অব ট্রেডার্স অর্গানাইজেশনের সাধারণ সম্পাদক তারকনাথ ত্রিবেদী বলেন, ‘জিরে গুঁড়োর দাম বৃদ্ধির পিছনে অপারেটরদের কারসাজি আছে। জিরে নিয়ে শেয়ার বাজারে একটা খেলা চলে। এর ফল ভুগতে হচ্ছে আম জনতাকে।’ তবে কী ‘খেলা’, তা তিনি খোলসা করেননি। এই পরিস্থিতিতে ব্যবসায়ীরা জিরের দাম নিয়ন্ত্রণে কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপ দাবি করছেন। পোস্তা বাজার মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সীতানাথ ঘোষ বলেন, ‘অত্যাবশ্যকীয় জিনিসপত্রের চড়া দামের দিকে কেন্দ্রের কোনও নজর নেই। উৎসবের মরশুমে মানুষকে সুরাহা দিতে অবিলম্বে কেন্দ্রের হস্তক্ষেপ করা উচিত।’