জানেন কি ব্যোমকেশের স্রষ্টাকে হিন্দি ফিল্মের স্ক্রিপ্ট লিখে দিনগুজরান করতে হত?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: ক্রমশ টলিউড গোয়েন্দা কাহিনির দিকে ঝুঁকছে। হাল আমলের পরিচালকরা একের পর এক ব্যোমকেশ গল্পকে বেছে নিচ্ছেন সিনেমা বানানোর জন্য। তবে এ জিনিস নতুন নয়! এর আগে সত্যজিৎ, তরুণ মজুমদার, তপন সিংহরা বারবার শরদিন্দুর কাহিনিকে পর্দায় তুলে এনেছেন। তৈরি হয়েছে ‘চিড়িয়াখানা’, ‘দাদার কীর্তি’, ‘ঝিন্দের বন্দী’-র মতো ছবি। জানেন কি? এই মানুষটিও সিনেমার সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে ছিল।
সে’সময় বম্বে টকিজের হিমাংশু রায় হন্যে হয়ে চিত্রনাট্যকার খুঁজছেন। কলকাতায় তারাশঙ্করকে অনুরোধ করেছেন। তিনি রাজি নন। সুযোগ এল শরদিন্দুর কাছে। ‘ভাবী’, ‘বচন’, ‘দুর্গা’, ‘কঙ্গন’, ‘নবজীবন’, ‘আজাদ’, ‘পুনর্মিলন’— বম্বে টকিজের জন্য সাতটি ছবির গল্প লিখেছিলেন শরদিন্দু। তিনি ইংরেজিতে লিখতেন, পরে হিন্দিতে অনুবাদ করে নেওয়া হত।
পরে বম্বে টকিজেরই পরিচালক এন আর আচার্য নিজের প্রোডাকশন খুললে শরদিন্দু কিছু দিন সেখানেও ফ্রিল্যান্স ভিত্তিতে চিত্রনাট্য লিখেছিলেন। সে’সময় মালাডে স্টুডিওর কাছেই থাকতেন।
শরদিন্দুর দ্বিতীয় পুত্র অতনু বন্দ্যোপাধ্যায়, দুটি ছবি পরিচালনা করেছিলেন। সেই ছবি দুটোর চিত্রনাট্যও লিখেছিলেন শরদিন্দু। ছবি দুটি হল দেবদূত এবং বিষের ধোঁয়া। চিত্রনাট্যকার হিসেবে সাফল্য পেয়েও তিনি পুরোদস্তুর লেখক হবেন বলে, চিত্রনাট্য লেখার পেশা ছেড়ে দিয়েছিলেন।