রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

উৎসবের আনন্দে ভাসছে কিরীটেশ্বরী, বিশেষ পুজো-ভোগের আয়োজন করা হচ্ছে

September 23, 2023 | 2 min read

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: বৃহস্পতিবারের পর থেকে উৎসব শুরু হয়ে গিয়েছে মুর্শিদাবাদের কিরীটেশ্বরীতে। কারণ, ওই দিনই মিলেছে সুখবরটি- এই গ্রামকে কেন্দ্রের তরফে দেশের সেরা পর্যটন গ্রামের তকমা দেওয়া হয়েছে। এখন উৎসবের আনন্দে ভাসছে মুর্শিদাবাদের নবগ্রামের এই ছোট্ট জনপদ। দিনভর পাড়ায় পাড়ায় চলে আলোচনা, হই-হুল্লোড়। ধূপ ও মোমবাতি জ্বালিয়ে মন্দিরের অধিষ্ঠাত্রী দেবী বিমলা মায়ের পুজো শুরু হয়।

গ্রামবাসীরা প্রায় প্রত্যেকেই বাড়ি থেকে বেরিয়ে মন্দিরের সামনে জমায়েত হন। কেউ দু’হাত তুলে মন্দিরের অধিষ্ঠাত্রী দেবী বিমলা মা’কে প্রণাম করেন। কেউ মন্দিরের চাতালে বসেই প্রার্থনায় মগ্ন হয়ে যান। দেওয়ালে মাথা ঠুকেও দেবীকে প্রণাম জানাতে দেখা যায় অনেককে।

মন্দিরের পুরোহিত রক্ষাকর চক্রবর্তী বলেন, ‘বৃহস্পতিবার দুপুরে খুশির খবর পাই। তখন আর আলাদা করে পুজোর ব্যবস্থা করা যায়নি। তাই এদিন বিশেষ পুজোর আয়োজন করা হয়। দেবীর ভোগেও ছিল বিশেষ আয়োজন। এখানে দেবীর ভোগে মাছ ও ভাতের ব্যবহার হয়। তাই এদিন মাছ-ভাত, ডাল, আলু ভাজার ব্যবস্থা ছিল। মা এখানে বিমলা রূপে পূজিতা হন। বাড়ির মেয়ের মতোই তিনি সবকিছু খান। দেবী যে জাগ্রত, তা মানেন বহু মানুষ। এদিন দূরদূরান্ত থেকে অনেকেই পুজো দিতে আসেন।

যেহেতু দেশের সেরা পর্যটন গ্রামের তকমা পেয়েছে কিরীটেশ্বরী, তাই আগামীতে এখানে পর্যটকদের আনাগোনা আরও বাড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে। তাই তাঁদের সুবিধার্থে এখানকার আরও উন্নতি প্রয়োজন। গ্রামবাসীদের দাবি, যারা বাইরে থেকে ঘুরতে আসবেন, তাঁদের জন্য সবার আগে এখানে একটি ব্রিজ হওয়া প্রয়োজন। নাহলে গ্রামে আসতে বড্ড সমস্যায় পড়তে হবে। ডাহাপাড়া ঘাটে একটা ব্রিজ করতে হবে। এছাড়াও পর্যটকদের থাকার জন্য গ্রামে একটি মাত্র ধর্মশালা, আর তাতে মোটে দু’টি ঘর। তাই আরও অনেক ধর্মশালা দরকার।

গ্রামের সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম বাসিন্দাদের সাহচর্যে রক্ষিত হচ্ছে হিন্দু ধর্মের শক্তিপীঠ। এর পরিচালন কমিটিতেও রয়েছেন একাধিক মুসলিম সদস্য। আর সেই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির গ্রামের মুকুটে এসেছে শ্রেষ্ঠত্বের শিরোপা।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#puja bhog, #murshidabad, #Kiriteshwari

আরো দেখুন