রবিবাসরীয় বাজারে আপানার জন্য রাখা থাকবে পদ্মার ইলিশ! দাম কত জানেন?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: সপ্তাহান্তে সুখবর! বাজারে চলে এসেছে বহু প্রতিক্ষিত পদ্মার ইলিশ। ইতিমধ্যেই হাওড়ায় পাইকারি বাজারে পদ্মার ইলিশ চলে এসেছে। ব্যবসায়ীরা শুক্রবার সেই ইলিশ হাতে পাচ্ছেন। রবিবার সব বাজারে চলে আসবে বাংলাদেশের পদ্মার ইলিশ।
প্রতি বছরই দুর্গা পুজোর সময় বাংলাদেশের থেকে এরাজ্যে ইলিশ পাঠানো হয়। এবছরও কয়েক সপ্তাহ আগে বাংলাদেশের বাণিজ্যমন্ত্রক ইলিশ রফতানি করতে সম্মত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পেট্রাপোল সীমান্ত পেরিয়ে ট্রাকভর্তি পদ্মার ইলিশ ঢুকেছে বাংলায়। জানা গিয়েছে, মোট ৭০ মেট্রিক টন ইলিশ ঢুকেছে। তার মধ্যে ৫০ টন ঢুকেছে হাওড়ায়। ফলে পুজোর আগেই বাঙালির পাতে যে পদ্মার ইলিশ পড়তে চলেছে তা বলাই বাহুল্য।
তবে বাংলাদেশের ইলিশের দাম হবে চড়া। এমনিতেই কলকাতার বাজারে এতদিন যে ইলিশ পাওয়া যাচ্ছিল, তার দাম ছিল প্রায় ১০০০ টাকার কাছাকাছি। রবিবার বাংলাদেশের ইলিশের দাম ২০০০ টাকার কাছাকাছি হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
গত বছরের থেকে এবার বাংলাদেশে ইলিশের উৎপাদন অনেকটাই কম হয়েছে। সাগরে প্রচুর ইলিশ মিললেও নদীতে সেভাবে ঝাঁকের দেখা মেলেনি। তাই এবার বাংলাদেশের বাজারেও বেশি দামেই বিকিয়েছে ইলিশ। শুরু থেকেই পদ্মার ইলিশের দাম নিয়ে এপারের বিক্রেতারা তো বটেই, সাধারণ বাঙালির মনেও আশঙ্কা ছিল। চাহিদা তো রয়েছে, কিন্তু এই চড়া দামের পদ্মার ইলিশ কিনতে সাহস পাচ্ছেন না খুচরো বিক্রেতারাও।
বাংলাদেশ বাণিজ্য দফতরের খবর অনুযায়ী, মোট ৭৯টি ভারতীয় সংস্থাকে এদেশে ইলিশ আমদানি করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি সংস্থা ৫০মেট্রিক টন হিসেবে মোট ৩৯৫০ মেট্রিক টন ইলিশ আমদানি করতে পারবে। অক্টোবর মাস শেষ হওয়া পর্যন্ত চলবে ইলিশের আমদানি। তার মধ্যে কতটা ইলিশ ব্যবসায়ীরা কলকাতায় আনতে পারেন, সেদিকে লক্ষ্য থাকছে খুচরো বাজারের ব্যবসায়ীদের। কারণ যত বেশি পরিমাণে ইলিশ আমদানি করা যাবে, দাম ততই কম হওয়ার সম্ভাবনা থাকছে।