পুজো স্পেশাল বিভাগে ফিরে যান

বাংলার দুগ্গা পুজো: জেনে নিন প্রাচীন সিমলাপাল রাজবাড়ির পুজোর ইতিহাস

September 25, 2023 | < 1 min read

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: প্রায় ৪০০ বছরের প্রাচীন বাঁকুড়ার সিমলাপাল রাজবাড়ির দুর্গাপুজো। অসংখ্য ইতিহাস জড়িয়ে রয়েছে এই রাজবাড়ির পুজোর সঙ্গে। এর মধ্যে অন্যতম ছিল বলির রক্তাক্ত ইতিহাস। একসময়ে এখানে শতাধিক ছাগলের বলি হত।

অষ্টমীর সন্ধিপুজোয় বিষ্ণুপুরের মল্লরাজাদের তোপধ্বনির পরে এখানেও তোপ দাগার রেওয়াজ ছিল। এখন ছাগল বলির বদলে আখ ও ছাঁচি কুমড়ো বলি দেওয়া হয়। মা এখানে সম্পুর্ন রূপে মৃন্ময়ী। মাটির পরিধান, মাটির অলঙ্কার এই প্রতিমার বৈশিষ্ট্য। ১৯৯৫ সাল থেকে পশু বলি পুরোপুরি বন্ধ। তবে পশু বলি ছাড়া পুজোর অন্যান্য নিয়ম নিষ্ঠা এখনও মেনে চলা হয়।

কথিত আছে, এই রাজ বংশের অধীনে সিমলাপাল থেকে কুইলাপাল পর্যন্ত ছিল বিস্তীর্ণ মৌজা। সিমলাপাল রাজ পরিবারের শেষ রাজা ছিলেন শ্যামসুন্দর সিংহ চৌধুরী। তাঁর ৩ ছেলে। বড় ছেলে কল্যাণীপ্রসাদ সিংহ চৌধুরী ১৯৮৪ সালে পথ দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছেন। মেজো ছেলে অমিয়প্রসাদ সিংহ চৌধুরী বিদেশে থাকেন।শ্যামসুন্দর সিংহ চৌধুরীর ছোট ছেলে দেবপ্রসাদ সিংহ বড়ঠাকুর সিমলাপালেই থাকেন।

পশুবলি না হলেও ইতিহাসের স্মৃতিবিজড়িত সিমলাপাল রাজবাড়ির পুজো আজও জৌলুস হারায় নি। সপ্তমীর সকালে শিলাবতী নদী থেকে শোভাযাত্রা সহকারে ঘট ও নবপত্রিকা আনা হয়। তবে এখানে আখ বলির ধরনটা একটু অন্য রকম। দেবীর থানে ত্রিভূজের আকারে আখগুলি দাঁড় করানো হয়। তারপর বলি দেওয়া হয়। পুজোর দিনগুলিতে নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। এখনও আশেপাশের অসংখ্য গ্রামের মানুষ ভিড় জমান এই রাজবাড়ির পুজোয়।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#durga Pujo, #Simlapal, #Rajbari

আরো দেখুন