বিবেকানন্দকে চাকরি থেকে তাড়িয়ে দিয়েছিলেন বিদ্যাসাগর?
উনিশ শতকের একেবারে শেষ ভাগ, কলকাতার রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন এক পিতৃহারা যুবক। পরিবার বাঁচাতে একটা সামান্য চাকরির জন্য শহরের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে ছুটে বেড়াচ্ছিলেন তিনি। গ্রাস করেছে, হতাশা, দুঃখ, বেকারত্ব। তিনিই পরবর্তীতে হয়ে ওঠেন স্বামী বিবেকানন্দ।
দত্ত পরিবার তখন ঋণে জর্জরিত। অফিসে, অফিসে আবেদনপত্র নিয়ে যাচ্ছেন, খালি হাতে ফিরেচ্ছেন নরেন্দ্রনাথ। ১৮৮৪ সালে কাজ মিলল, মহেন্দ্রনাথ গুপ্তর চেষ্টায় সুকিয়া স্ট্রিটের মেট্রোপলিটন স্কুলে শিক্ষকতার চাকরি পেলেন নরেন্দ্রনাথ। ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর সেখানকার প্রতিষ্ঠাতা। সেক্রেটারি ছিলেন বিদ্যাসাগরের জামাই। স্কুলের সবাই তাঁকে মেনে চলবে, এমন প্রভাব বিস্তার করেছিলেন তিনি। নরেন তা মানেননি। ছাত্রদের সাজিয়েই বিদ্যাসাগরের কাছে পাঠানো হল, নতুন মাস্টার পড়াতে পারেন না। বিদ্যাসাগর বললেন, তাহলে নরেনকে বল, আর যেন না আসে। চক্রান্তের শিকার হলেন নরেন।