আপনার সুখ-সমৃদ্ধিতে এই বছর কোজাগরী লক্ষ্মীপুজো বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ কেন?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: ২০২৩ সালে দুটি সূর্যগ্রহণ ও দুটি চন্দ্রগ্রহণ হওয়ার কথা। এর মধ্যে গত ২০ এপ্রিল এই বছরের প্রথম সূর্যগ্রহণ হয়। তার ঠিক ১৫ দিন পরে গত ৫ মে হয় এই বছরের প্রথম চন্দ্রগ্রহণ। আগামী ১৪ অক্টোবর হবে এই বছরের দ্বিতীয় সূর্যগ্রহণ। আবার তার ১৫ দিন পরে আগামী ২৯ অক্টোবর হবে এই বছরের শেষ চন্দ্রগ্রহণ। সেদিন আবার কোজাগরী পর্ণিমার লক্ষ্মীপুজো।
ধনসম্পদের প্রাচুর্যের আশায় কোজাগরী পূর্ণিমায় ঘরে ঘরে লক্ষ্মীপুজোর আয়োজন করা হয়। কিন্তু এবারের কোজাগরী খণ্ডগ্রাস চন্দ্রগ্রহণের কারণে তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠেছে। ২০ অক্টোবর (২ কার্তিক) মহাষষ্ঠী। তার আটদিনের মাথায় (২৮ অক্টোবর) কোজাগরী লক্ষ্মীপুজো। পঞ্জিকা অনুযায়ী, ওই দিন রাত্রি ১টা ৫৬ মিনিট পর্যন্ত থাকবে পূর্ণিমা তিথি। আর রাত ১টা ৫ মিনিটে চাঁদে গ্রহণ লাগতে শুরু করবে। গ্রহণ ছাড়বে রাত ২টো ২৪ মিনিটে।
পঞ্জিকা নির্ধারিত এই বিশেষ যোগের ভালো-মন্দ সম্পর্কে বিশ্বাসী লোকজন আগে থেকেই খোঁজখবর করতে শুরু করেছেন। কী করলে ভালো, কী করলে কু-প্রভাব পড়বে, এসব নিয়ে তাঁদের আগ্রহ তুঙ্গে। অনেকে বলছেন, কোজাগরী রাতে পুজো শেষে চিঁড়ে ও নারকেল খেলে এবং রাত জেগে পাশা খেললে ধনবর্ষার সমূহ সম্ভাবনা। তবে গ্রহণ দর্শনের পর স্নান করা বাধ্যতামূলক।
সর্বভারতীয় প্রাচ্যবিদ্যা অ্যাকাডেমির অধ্যক্ষ ডঃ জয়ন্ত কুশারী বলেন, ‘সন্ধ্যার সময় লক্ষ্মীপুজো সেরে রাত জাগতে পারলে ধনবৃদ্ধির সম্ভাবনা থাকেই। এবার চন্দ্রগ্রহণের কারণে সেই সম্ভাবনা আরও বেশি।’ গুপ্ত প্রেস পঞ্জিকার প্রধান রাজগণক অচিন্ত্য ভট্টাচার্য বলেন, ‘নারকেল বরাবরই শুভ কাজের বার্তা বহন করে। লক্ষ্মীপুজোয় রাত জেগে নারকেল, চিঁড়ে খাওয়ার প্রথা আছে। সেই নিয়ম সঠিকভাবে পালন করতে পারলে লক্ষ্মীমায়ের আশীর্বাদ বর্ষিত হবে।’