শরিকরা না খুশ! NDA-র গৃহযুদ্ধ সামলাতেই নাজেহাল শাহ, মোদীরা?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: শরিকদের সামলাতেই নাজেহাল মোদী। এনডিএ জোট ও বিজেপির অন্দরে একপ্রকার চাপা গৃহযুদ্ধের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। কর্ণাটকে পরাজয়ের পর বিজেপি তামিলনাড়ুকে পাখির চোখ করেছিল। কিন্তু জোট থেকে বেরিয়ে গিয়ে, বিজেপির সেই স্বপ্নকে কার্যত ধুলিসাৎ করেছে এআইএডিএমকে। লোকসভা ভোটের ঠিক আগে গেরুয়া শিবিরকে বড়সড় ধাক্কা দিয়ে জয়ললিতার দল জানিয়েছে, তারা বিজেপির সঙ্গে নেই।
বিহারে এনডিএ জোটশরিকরা আসন নিয়ে নিজেদের মধ্যে দড়ি টানাটানি শুরু করায় বিজেপির চিন্তা বেড়েছে। এনডিএতে যোগ দিয়েছে জিতনরাম মাঝির দল হিন্দুস্তান আবাম মোর্চা এবং রামবিলাস পাসোয়ানের পুত্র চিরাগ পাসোয়ানের দল লোকজনশক্তি পার্টি। দুই দলের মূল টার্গেট অনগ্রসর শ্রেণীর ভোট। রামবিলাস পাসোয়ান এবং চিরাগের শক্তিশালী কেন্দ্র হল বিহারের জামুই। চিরাগ ওই কেন্দ্রেরই সাংসদ। কিন্তু বুধবার জোটসঙ্গীকে টার্গেট করে জিতনরামের তোপ, জামুই আসনে তাঁরা লড়াই করবেন। ওই কেন্দ্র মুশাহর সম্প্রদায়ের নিজস্ব কেন্দ্র। তাই তাঁদের দল ওখানেই আসন চায়।
জিতনরামের বক্তব্যে ক্ষুব্ধ চিরাগ পাসোয়ান। তিনি বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বকে নিজের ক্ষোভ জানিয়েছেন। কিন্তু তাতেও হেলদোল নেই জিতনরামের। জিতনরাম দফায় দফায় একই দাবি করেছেন। বিহারে নীতীশ কুমারকে হারিয়ে বিজেপি উদ্বিঘ্ন। খোদ বিজেপির অভ্যন্তেরেই আশঙ্কা, ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটে বিহারে বিজেপির আসন কমবে। তা চিন্তা করতেই হয়ত চিরাগ এবং জিতনরাম মাঝিকে জোটে নিয়েছে বিজেপি। তবে দুই শিবিরের বিরোধে যথেষ্ট অস্বস্তিতে বিজেপি।
বিহারের পাশাপাশি হরিয়ানা নিয়েও চিন্তিত মোদী-শাহ। কারণ, আসন নিয়ে দর কষাকষি শুরু করেছে জননায়ক জনতা পার্টি। গেরুয়া শিবিরের কাছে, হরিয়ানার প্রায় অর্ধেক আসন চেয়ে বসেছে দুষ্যন্ত চৌতালার দল। কিন্তু তা মানতে রাজি নয়। দুষ্যন্ত জোট ছাড়ার পরিকল্পনা নিচ্ছেন কিনা তা নিয়েও ভাবছে বিজেপির।
অন্যদিকে, মধ্যপ্রদেশের তৃতীয় প্রার্থী তালিকাতেও শিবরাজ সিং চৌহানের নাম নেই। একের পর এক হেভিওয়েট কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের নাম প্রার্থী তালিকায় আনছেন মোদী ও অমিত শাহ। মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী না হলে বা টিকিটও না পেলে, শিবরাজ ও তাঁর অনুগামীরা কী করবেন, সেটাই চিন্তায় রেখেছে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বকে। একই হাল রাজস্থানে। বসুন্ধরা রাজে সিন্ধিয়ার বাসভবনে গিয়ে গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াত দীর্ঘক্ষণ বৈঠক করেছেন। বসুন্ধরার অনুগামীদের ক্ষোভ প্রশমিত হয়নি। তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী করা হবে না তা একপ্রকার নিশ্চিত। সব মিলিয়ে অস্বস্তি বাড়ছে বিজেপির!