এবার ব্লক-পঞ্চায়েত স্তরেও রাজ্যের ক্ষমতায় হস্তক্ষেপ করতে চাইছে মোদী সরকার?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: দেশের সবটাই একই ছাতার তলায় নিয়ে আসতে চেয়ে যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোকেই চ্যালেঞ্জ জানিয়ে চলেছে মোদী সরকার। এবার লক্ষ্য দেশের পঞ্চায়েত ব্যবস্থায় হস্তক্ষেপ!
দেশের ৫০০ ব্লকের আধিকারিক, জনপ্রতিনিধি ও কর্মীদের নিয়ে ‘সংকল্প শপথ’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে শনিবার নির্দেশিকা দেবেন প্রধানমন্ত্রী। থাকবেন ব্লক ও পঞ্চায়েত স্তরের কৃষকরাও। রাজ্য, জেলা, মহকুমা, ব্লক এবং পঞ্চায়েত—এই প্রতিটি স্তরের প্রশাসন পরিচালনার দায়িত্ব রাজ্য সরকার এবং নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের প্রতিষ্ঠানের। অর্থাৎ প্রশাসনিক বিভাগ ছাড়াও পুরসভা, জেলা পরিষদ, পঞ্চায়েত সমিতি এবং গ্রাম পঞ্চায়েত—প্রতিটি ধাপই রাজ্য প্রশাসন দ্বারা চালিত। এই পর্যায়ে কেন্দ্র, বলা ভালো স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপের অর্থ রাজ্যের শাসনে দখলদারি চালানো।
ভারতীয় সংবিধানের সপ্তম তফসিলে যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় রাষ্ট্র পরিচালনার অধিকার বিভাজন করা হয়েছে নির্দিষ্টভাবে। সেখানেই নির্ধারণ করা রয়েছে তিনটি তালিকা। কেন্দ্রীয়, রাজ্য এবং কেন্দ্র-রাজ্য যৌথ। অর্থাৎ কোন কোন বিষয়ের অধিকার রাজ্য সরকারের, কোনটা কেন্দ্রের এবং কোনগুলি যৌথ তালিকার অন্তর্ভুক্ত, তা স্পষ্ট এই তিন তালিকায়। কেন্দ্র-রাজ্য সম্পর্কও চালিত হয় এই সপ্তম তফসিলের মাধ্যমে। বিজেপি বিরোধী দলগুলির দীর্ঘদিনের অভিযোগ, মোদী সরকার বারবার রাজ্যের অধিকারে হস্তক্ষেপ করে।
যদিও কেন্দ্রীয় সরকার সেই অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দেয়। এই বিরোধের প্রসঙ্গ নীতি আয়োগের বৈঠকগুলিতেও বারবার উঠে এসেছে। এমনকী উত্তপ্ত হয়েছে জিএসটি কাউন্সিল বৈঠকও। এই এক অভিযোগ আবার উঠছে প্রধানমন্ত্রীর কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে। আজ দিল্লির ভারত মণ্ডপমে আয়োজিত হবে ‘সংকল্প শপথ’। এই কর্মসূচি চালু করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।