‘এক দেশ, এক ভোট’ বাস্তবায়িত করতে এবার তৎপরতায় আইন কমিশন
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: ‘এক দেশ, এক ভোট’ বিল নিয়ে কেন্দ্রের তৎপরতায় ইতিমধ্যে এই পদক্ষেপের কার্যকারিতা বিশ্লেষণের জন্য প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠিত হয়েছে। এই প্রক্রিয়াটি কবে কার্যকর হতে পারে, ২০২৪-এ লোকসভা ভোটের সময় এটি কার্যকর হবে কি না তা তা নিয়ে যখন প্রশ্ন উঠছে, তখন এই বিষয়ে বড় ইঙ্গিত দিয়েছে আইন কমিশন।
আইন কমিশন সূত্রে খবর, ২০২৪ সালে দেশে লোকসভা নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে। সেই সময় বিধানসভা নির্বাচন হবে না বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ফলে কোনওভাবেই আগামী বছর ‘এক দেশ, এক ভোট’ কার্যকর করা সম্ভব হবে না। তবে ২০২৯ সালে এই প্রক্রিয়া কার্যকর করা যেতে পারে। সমস্ত বিধানসভা নির্বাচনকে একসঙ্গে করার জন্য কিছু বিধানসভার মেয়াদ বাড়াতে হবে আবার কোনটির মেয়াদ হ্রাস করতে হবে। এই বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যে আইন কমিশন কাজ করছে, যাতে ২০২৯ সালে লোকসভা ভোটের সঙ্গে রাজ্যগুলিতেও বিধানসভা নির্বাচন করা যেতে পারে।
২০২২ সালের ডিসেম্বরে, ২২ তম আইন কমিশন দেশে একযোগে নির্বাচন করার ব্যাপারে সমস্ত রাজনৈতিক দল, ভারতের নির্বাচন কমিশন, আমলা, শিক্ষাবিদ এবং বিশেষজ্ঞদের সহ আমলাদের মতামত চেয়েছিল। ২০২৪ সালে লোকসভা ভোটের আগে সেই রিপোর্ট প্রকাশ করা হবে এবং আইন মন্ত্রকে জমা দেওয়া হবে বলে সূত্রের খবর।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে ২১ তম আইন কমিশন মোদী সরকারের ‘এক দেশ, এক ভোট’ প্রস্তাবকে সমর্থন জানিয়েছিল এবং এব্যাপারে আইন মন্ত্রকে একটি রিপোর্ট জমা করেছিল। সেই রিপোর্টে বলা হয়েছিল, লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচন একসঙ্গে হলে জনগণের টাকা বাঁচবে এবং প্রশাসনের উপর চাপ কমবে, সর্বোপরি সরকারি নীতিগুলি সঠিকভাবে কার্যকর করা যাবে। তবে সংবিধান সংশোধন না করে এক দেশ, এক ভোট প্রক্রিয়া কার্যকর করা সম্ভব হবে না। এটা কার্যকর করার জন্য ‘রিপ্রেজেন্টেশন অফ পিপল অ্যাক্ট, ১৯৫১’ সংশোধন করতে হবে। এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছনোর আগে জনগণের মতামত নেওয়ারও প্রস্তাব দিয়েছিল আইন কমিশন।