নীলরতন সরকার কেন বিধানচন্দ্র রায়ের সঙ্গে মেয়ের বিয়ে দিলেন না?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: বিধানচন্দ্র রায়, এক অসামান্য চিকিৎসক। যাঁর দুর্ধর্ষ ক্লিনিক্যাল আই ছিল। প্রশ্নাতীত রোগ নির্ণয় ক্ষমতা ছিল। তিনিই বাংলার দ্বিতীয় মুখ্যমন্ত্রী, একদা কলকাতার মহানাগরিক, বিদেশ থেকে পাশ করে আসা এমআরসিপি, এফআরসিএস; তাঁর এসব পরিচয় এখন বাঙালির কাছে অতীত। কেবল রয়ে গিয়েছে বিধান রায় আর নীলরতন সরকারের মেয়ে, কল্যাণীর অপূর্ন প্রেমের গল্প।
বছরের পর বছর এই গল্প চলছে। টিভি, রেডিও, ইন্টারনেট, ইউটিউব, নিউজ পোর্টাল থেকে সাধারণ জনমানসে, সর্বত্র শুধুই বিধান আর কল্যাণীর প্রেমের গল্প। প্রচলিত ইতিহাস অনুযায়ী কল্যাণী নীলরতন সরকারের কন্যা। একটু ঢুঁ মারা যাক এনআরএস-এর ফ্যামিলি ট্রি-তে। নীলরতন সরকার পাঁচ কন্যাসন্তানের জনক ছিলেন, তাঁরা হলেন নলিনী বসু, অরুন্ধতী চ্যাটার্জি, শান্তা সেন, মীরা সেন এবং কমলা চ্যাটার্জি। এদের স্বামীরা হলেন যথাক্রমে, ডা: ডি এন বসু, কেদারনাথ চ্যাটার্জি, ভি এন সেন, সুশীল কুমার সেন, অশোক চ্যাটার্জি এবং অশোক চ্যাটার্জি। এরা প্রত্যেকেই তদানীন্তন সমাজের সুপ্রতিষ্ঠিত ব্যক্তি, কেউ অধ্যাপক, কেউ সাংবাদিক, আবার এদের মধ্যে বিজ্ঞানী, শিল্প উদ্যোগীও রয়েছেন। এছাড়াও নীলরতন সরকারের একজন পুত্রও ছিলেন, তিনি হলেন অরুণ প্রকাশ সরকার।
কিন্তু কোথায় গেলেন বিধান রায়ের প্রেমিকা? ভারী আশ্চর্যের বিষয়! কোথায় আর যাবেন! ওই নামে নীলরতন সারকারের কোনও সন্তানই ছিল না। তাহলে মেয়ে আসবেনই বা কোথা থেকে, মেয়ে থাকলে তবে না প্রেম, তারপরে বিয়ে দেওয়া না দেওয়ার প্রশ্ন!