মাধ্যমিক বিভ্রাট! মিলছে না মার্কশিটের সঙ্গে ওয়েবসাইটের নম্বর
ওয়েবসাইট দেখিয়েছিল একরকম নম্বর। মাধ্যমিকের মার্কশিটের হার্ডকপি হাতে আসার পর পরীক্ষার্থী দেখল, তাতে বিষয়ভিত্তিক নম্বর আলাদা। বিভিন্ন জেলায় অনেক পরীক্ষার্থীর সঙ্গেই এরকম ঘটেছে। তাদের মধ্যে অনেকেই মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে বলে খবর। পর্ষদ সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, এর কারণ খুঁজতে তিনি পুলিসের সাইবার ক্রাইম বিভাগের দ্বারস্থ হচ্ছেন। প্রয়োজনে সিআইডির সহযোগিতাও চাইতে পারেন।
কোভিডের জন্য এবার ফল প্রকাশের দিনই মার্কশিট বিলি করতে পারেনি পর্ষদ। ১৫ জুলাই ভার্চুয়াল সাংবাদিক বৈঠক করে ওয়েবসাইটে ফল প্রকাশ করে তারা। ২২ জুলাইয়ের পর থেকে মার্কশিট হাতে পেতে শুরু করে পরীক্ষার্থীরা। তবে তার আগে ওয়েবসাইট থেকে মোট এবং বিষয়ভিত্তিক নম্বর দেখে, তার প্রিন্ট আউটও বের করে নিতে পেরেছে তারা। কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে, ওয়েবসাইটে দেওয়া নম্বরের সঙ্গে পরীক্ষার্থীর মার্কশিটের নম্বরে অনেকটাই অমিল রয়েছে। পর্ষদ অভিযোগ পেয়ে দেখেছে, মার্কশিটের নম্বরই পরীক্ষার্থীর প্রকৃত প্রাপ্ত নম্বর। কারণ তা পর্ষদের রেকর্ডের সঙ্গে মিলে যাচ্ছে। কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ছাত্রছাত্রীদের স্বার্থ সবার আগে। তাই বিষয়টিতে তদন্তের প্রয়োজন রয়েছে।
তবে ওয়েবসাইট সংস্থাগুলির তরফে গাফিলতি হওয়াও অস্বাভাবিক নয়। যেহেতু প্রতিটি ধাপই ভালোভাবে ডকুমেন্টেড থাকে, তাই কোন ধাপে ডেটা এন্ট্রিতে ভুল হয়েছে, তা সহজেই ধরা সম্ভব বলে মনে করছে এ বিষয়ে অভিজ্ঞ মহল।
তবে বিতর্ক পর্ষদের পিছু ছাড়ে না কখনই। পরপর দু’বার প্রায় প্রতিদিনই মাধ্যমিক পরীক্ষা চলাকালীন প্রশ্নপত্র হোয়াটসঅ্যাপে বেরিয়ে গিয়েছে। সেই অভিযোগ সিআইডি পর্যন্ত গড়িয়েছিল। ধরপাকড়ও হয়। এছাড়াও কখনও ভুয়ো পরিচয়ে চাকরি করার অভিযোগে, কখনও বহু লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগে গত দু’-এক বছরের মধ্যে পর্ষদের কর্মীরা গ্রেপ্তার হয়েছে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে দোষ প্রমাণিতও হয়েছে। কয়েক বছর আগে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা (টেট)-এর উত্তরপত্রের একটি বস্তা নিখোঁজ হয়। এর ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে ছিল মধ্যশিক্ষা পর্ষদই। সিআইডি তদন্তে অবশ্য দেখা গিয়েছিল, পর্ষদ নয়, উত্তরপত্র যে ট্রাকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, তার চালকের গাফিলতিতেই এই ঘটনা ঘটেছে।